বর্তমানে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ৯৫ ধরনের প্যাকেজ রয়েছে। এগুলোর মেয়াদ এক ঘণ্টা থেকে শুরু করে অনির্দিষ্টকালের জন্যও আছে। তবে অপারেটরদের প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। এ কারণে স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু প্যাকেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটি ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের।
আরও পড়ুন>>> মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের রেট গ্রহণযোগ্য নয়: মোস্তাফা জব্বার
ফলে এরপর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ কেনার সুযোগ পাবেন। অনির্দিষ্টকাল মেয়াদে ডেটা প্যাকেজ কেনার সুবিধাও থাকছে।
Advertisement
বিটিআরসির ভাষ্য, তারা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর জরিপ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, গ্রাহকরাও অফার প্যাকেজ সীমিত করার পক্ষে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের এত ধরনের প্যাকেজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আগে তারা (মোবাইল ফোন অপারেটর) ৩০০ ধরনের প্যাকেজ অফার করতো। এখন ৯৫ ধরনের প্যাকেজ দিচ্ছে। গ্রাহকদের পক্ষে কি ৯৫ ধরনের প্যাকেজ থেকে সব মনে রেখে পছন্দের প্যাকেজ বাছাই করা সম্ভব? এর মাধ্যমে মানুষ চরম মাত্রায় বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা এর সংখ্যা কমিয়ে ৪০ এর মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি।’
আরও পড়ুন>>> মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট স্লো হলে যা করবেন
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, ‘যদি স্বল্প ব্যয়ে স্বল্প সময়ের জন্য ডেটা কেনার বিকল্প বাদ দেওয়া হয়, তবে সেটি তাদের পক্ষে খুব অসুবিধাজনক হবে। গ্রাহকদের সবসময় বিকল্প বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত।’
Advertisement
টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার মতে, এর মাধ্যমে ভোক্তাদের পছন্দের স্বাধীনতা সীমিত করা হলো। এই উদ্যোগ তৃণমূল, নিম্ন-আয়ের ও তরুণদের ওপর আর্থিক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে টেলিকম পরিষেবা, বিশেষত ইন্টারনেটের ব্যবহার কমবে।
এনএইচ/কেএসআর/এমএস