প্রতিনিয়ত বাড়ছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। যদিও এটি নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিতর্কের বিষয় হচ্ছে জেনরেটিভ এআই কীভাবে কাজ করে, কীভাবে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় তা নিয়ে।
Advertisement
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের থেকে তথ্য নিয়েই এআই মডেলকে প্রশিক্ষিত করার কাজ করছে সংস্থাগুলো। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হয়ে থাকে।
মেটাও এআই নিয়ে কাজ করছে বেশি কিছুদিন থেকেই। তবে মেটা জানিয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী না চাইলে তারা সেই ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করবে না। এজন্য তারা একটি ফর্ম-সহ ‘হেল্প রিসোর্স সেন্টার’ আপডেট করেছে। এই ফর্মের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞা তৈরি করতে পারেন, যেন তার তথ্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুক মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
Advertisement
কোনো ব্যবহাকারী যদি কোনো তথ্য যা এআই মডেলকে প্রশিক্ষিত করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করেন তাহলে তা তিনি মুছে দিতে পারেন। ফেসবুকের হেল্প সেন্টার রিসোর্স অংশে গিয়ে ‘জেনেরেটিভ এআই ডাটা সাবজেক্ট রাইটস’ দেখতে পাওয়া যাবে। এখান থেকেই ব্যবহারকারীরা তা বন্ধ করতে পারবেন।
ব্যবহারকারীরা যেভাবে তার তথ্য ব্যবহার বন্ধ করতে পারবেন দেখে নিন—>> প্রথমেই ফেসবুকের প্রাইভেসি পলিসি পেজ থেকে জেনেরেটিভ এআই ডাটা সাবজেক্ট রাইটস অংশে যেতে হবে।>> এরপর লার্ন মোর অ্যান্ড সাবমিট রিকোয়েস্টস হেয়ার-এ ক্লিক করুন।>> এরপর দ্বিতীয় অপশনটি বেছে নিতে হবে। সেখানেই বলা রয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত তৃতীয় পক্ষের ডেটা উৎস থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার কথা।>> এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারীদের একটি ‘সিকিওরিটি চেক’-এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কাজ শেষ হলেই আপনার তথ্য এবার পুরোপুরি নিরাপদ। সূত্র: সিএনবিসি
কেএসকে/এমএস
Advertisement