জাগো জবস

প্রোডাক্ট ডিজাইন থেকে মাসে আয় ৬ লাখ

আতিকুর রহমান বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রোডাক্ট ডিজাইনার। তিনি দীর্ঘ ৭ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন ১৭টি দেশের ২০টি ইন্ডাস্ট্রির ৪০টিরও বেশি প্রোডাক্ট নিয়ে। দেশ এবং দেশের বাইরে প্রোডাক্ট ডিজাইনকে প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন নতুন মাত্রা। বর্তমানে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স লিড হিসেবে রিমোট জব করছেন ইউরোপের আমস্টারডাম ভিত্তিক ওটার কোম্পানিতে। সেখানে তিনি কোম্পানির প্রোডাক্টের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করার জন্য কাজ করে থাকেন।

Advertisement

আতিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মূলত ডিজাইন টিমকে লিড করে ইউজারের জন্য ভালো একটি এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করা, বিজনেসকে প্রফিটেবল করা, পাশাপাশি প্রোডাক্ট টিমের কর্মদক্ষতা বাড়ানোই আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশে প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে মানসম্মত কোর্স নেই বললেই চলে। অনেকেই ভুলভাল জায়গায় কোর্স করে নিজের সর্বস্ব হারাচ্ছেন। সেভাবে বুঝেই উঠতে পারছেন না প্রোডাক্ট ডিজাইন আসলে কী? আমার প্রচেষ্টা আসলে সবাইকে এ ব্যাপারে জানানো এবং শেখানো।’

আরও পড়ুন: হতাশ হয়েছি বহুবার কিন্তু হাল ছাড়িনি: আনিসুর রহমান

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ যুক্ত আছেন আমার সঙ্গে। পাশাপাশি ডিজাইন মংকস নামে আমার একটি ডিজাইন এজেন্সি আছে। যেখানে লোকাল এবং গ্লোব্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করি। ডিজাইন মংকসে আমরা ১০ জন ডিজাইনার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বসে গ্লোব্যাল স্ট্যান্ডার্ডের ডিজাইন সার্ভিস প্রোভাইড করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। পুরো টিমই একটি রিমোট টিম। আমার ইচ্ছা ছিলো, স্টেরিওটিপিক্যাল কনসেপ্ট ভেঙে একটি নতুন কালচার নিয়ে সবাই একটি ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারবে।’

Advertisement

শুরুর গল্প জানতে চাইলে আতিক বলেন, ‘শুরু আসলে ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি আর আমার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়া বন্ধু মিলে একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানাই ব্ল্যাড ডোনেশনের জন্য। আমি তখন ডিজাইন নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতাম। যখন এ অ্যাপের জন্য ডিজাইন করা শুরু করি; তখন অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। এ জায়গা থেকেই পরে প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করা। এরপর ভার্সিটির পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় আসি। বন্ধুরা মিলে একটি স্টার্টআপ দিই। দুর্ভাগ্যবশত সেটি ফেইল করে। এরপর ডিসিশন নিই প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করবো। এভাবে শুরু হয় আমার জার্নি। তবে সফলতা পেতে লেগে যায় বেশ সময়। বর্তমানে আমার প্রোডাক্ট ডিজাইন থেকে মাসে আয় ৬ লাখ টাকা।’

আরও পড়ুন: বিসিএসে প্রথম পছন্দের ক্যাডারই পেয়েছেন মনির

আতিকুর রহমানের কাজ শুধু তার চাকরিতেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজাইন কমিউনিটিকে প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে শেখানোর জন্য তার একটি উদ্যোগ হলো ‘ইউএক্স টকস উইথ আতিক’। ডিজাইনারদের জন্য ইউটিউব এবং পডকাস্টের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে চলেছেন ক্যারিয়ার পরামর্শ, ডিজাইন টিপস এবং ডিজাইন লার্নিং। তার স্বপ্ন ডিজাইন মংকসকে একটি ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিতে পরিণত করা। পাশাপাশি ‘ইউএক্স টকস উইথ আতিক’র মাধ্যমে একটি সুন্দর নলেজ শেয়ারিং কমিউনিটি গড়ে তোলা। যেখানে প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে নিত্য নতুন টিপস সবার মাঝে শেয়ার করতে চান।

এসইউ/এমএস

Advertisement