তথ্যপ্রযুক্তি

দক্ষতাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মূল চাবিকাঠি

ওমর ফারুক সোহাগ

Advertisement

প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি। দেশে বসেই বিদেশের নামিদামি কোম্পানি সঙ্গে কাজ করতে পারছি। সেইসঙ্গে খুব ভালো মানের সম্মানিও পাওয়া যাচ্ছে। এসব কিছুর পেছনে যে পেশা উল্লেখযোগ্য, তা হলো ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত পেশা। যার মাধ্যমে একজন দক্ষ লোক যে কোনো জায়গা থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ ৬-৭ বছর আগেও অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন তেমন দেখেনি। বর্তমানে এখন এটি সম্মানজনক পেশায় পরিণত হচ্ছে।

সঠিক ধারণা ও জ্ঞান থাকলে যে কেউ তৈরি করে নিতে পারেন তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। যদি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো হলো- কঠোর পরিশ্রম, কাজের যোগ্যতা এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: শখের বশে শুরু, মাসে আয় লাখ টাকা

কঠোর পরিশ্রমপরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি এ কথা সবার জানা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঠিক এ কাজটিই করতে হবে। মানে সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দ্বিতীয় সুযোগ বলে কিছু নেই। একটু অলসতার কারণে কাজ একটু খারাপ হয়েছে, এসব বলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না।

অনেক অভিজ্ঞ লোক বসে আছেন নির্ভুলভাবে কাজ করে দেওয়ার জন্য। সে ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট অভিজ্ঞদের মধ্য থেকে কাউকে সুযোগ দেবেন। কারণ আপনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। মনে রাখতে হবে, আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের একজন প্রতিযোগী। আবার মাঝে মাঝে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারকে টানা ১৫ ঘণ্টার বেশিও কাজ করতে হয়। এ ধরনের চাপের মধ্যে কাজ করার মনোবল থাকতে হবে।

কাজের যোগ্যতাফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্লায়েন্টরা ‘মনে হয় পারবো’ ধরনের মতবাদে বিশ্বাসী নন। আপনার কাছে তারা দুটি উত্তর শুনতে চাইবেন, ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’। হ্যাঁ উত্তর আপনি তখনই দিতে পারবেন; যখন আপনার যোগ্যতায় কোনো ঘাটতি থাকবে না এবং আত্মবিশ্বাসী হবেন। ব্যক্তিগত মত থেকে যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলতে হয়, কম্পিউটারের সঙ্গে জড়িত এ রকম কিছু সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করাই ভালো। কারণ এতে আপনার মেধা সারাবিশ্বে সহজেই তুলে ধরতে পারবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনীরা গোপন কোন অ্যাপ ব্যবহার করেন?

দেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যেখান থেকে আপনি কম্পিউটার বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পাবেন। অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, একটি প্রতিষ্ঠান শুধু পথপ্রদর্শকের ভূমিকা রাখে, চলতে হবে নিজের যোগ্যতায়। এছাড়া গুগল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করে দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

ইংরেজিতে দক্ষতাফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকা আবশ্যক। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট বিদেশি, সেহেতু তাদের সঙ্গে ইংরেজিতেই কথোপকথন চালাতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা না করতে পারলে কোনো কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না। আপনি তার কাজের দরকারি জিনিসগুলো বুঝতে পারবেন না। তাই ইংরেজিতে কথা বলতে এবং লিখতে পারদর্শী হতে হবে।

সাধারণত একজন সফল ফ্রিল্যান্সার একটি সময় পরে উদ্যোক্তা হতে পারেন। কারণ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সব বৈশিষ্ট্য লাগে। এ যোগ্যতা তার মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। তাই একজন দক্ষ লোক ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন।

এসইউ/জেআইএম