প্রতারণার মামলায় বেশ বিপাকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কয়েক লাখ রুপির প্রতারণার মামলায় তাকে তলব করেছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
২০১৪-১৫ সালে চার শতাধিক প্রবীণ নাগরিক একটি সংস্থায় অর্থ জমা দেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ রুপি করে নেওয়া হয়েছিল। এর বদলে তাদের সবাইকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা না পেয়েছেন ফ্ল্যাট, না ফেরত পেয়েছেন টাকা। নুসরাত ওই সংস্থার ‘অন্যতম ডিরেক্টর’ বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
আরও পড়ুন: নুসরাতের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই প্রবীণরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। নুসরাতের বিরুদ্ধে আদালতেও মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের সমন পেয়েও হাজিরা দেননি নুসরাত। তাই বাধ্য হয়েই প্রতারণার শিকার হওয়া লোকজনকে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন শঙ্কুদেব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরে দাবি করেন, প্রতারণার টাকা দিয়ে পাম এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরাত জাহান।
Advertisement
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নুসরাতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে তিনি যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। নুসরাত স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেই ঋণ সুদসহ ফিরিয়েও দিয়েছেন। ওই সংস্থার সঙ্গে তার আর কোনও যোগাযোগও নেই। কোনও ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন বলেও দাবি করেন নুসরাত। তবে সংবাদ সম্মেলনে এর বাইরে সাংবাদিকদের আর কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে নারীরা বিজেপিকে ছুড়ে ফেলবে: মমতা
এছাড়া ওই সংস্থার অন্য এক ডিরেক্টর রাকেশ জানান, নুসরাত তাদের সংস্থা থেকে কোনও ঋণ নেননি। নুসরাতের বক্তব্য শুনে তিনি স্তম্ভিত বলেও উল্লেখ করেন।
ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে প্রতারণার এই মামলায় প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নুসরাত। একটি ফিল্মি পার্টিতে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়ে জোর দিয়েই তিনি দাবি করেছিলেন, ইডি তাকে ডাকবে না। কিন্তু তার কথা শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হলো।
Advertisement
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা