জাতীয়

কাস্টমসেরই কেউ ৫৫ কেজি সোনা চুরিতে জড়িত, ধারণা পুলিশের

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদাম বা ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি সোনা যারা চুরি করেছে তারা বাইরের কেউ নয়। পুলিশ বলছে, কাস্টমস হাউজের নিরাপত্তায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যেই কেউ এ চুরির সঙ্গে জড়িত। তবে কে বা কারা জড়িত, এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।

Advertisement

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউজের গুদামে ছিল কড়া নিরাপত্তা। এখান থেকে বাইরের কেউ এসে চুরি কিংবা সোনা নিয়ে বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তদন্তের স্বার্থে এখন পর্যন্ত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) পদমর্যাদার চারজন ও গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার সিপাহিকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম জানায়নি পুলিশ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তদন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহ করা হচ্ছে কাস্টমস হাউজের নিরাপত্তায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যেই কেউ এই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। কারণ বাইরের কেউ এসে এমন একটি গুদাম থেকে চুরি করা অসম্ভব। এ বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার আরও আপডেট জানানো হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাহজালালে কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা গায়েব

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রোববার। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে অজ্ঞাতদের আসামি করে। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের। শনিবার দিনগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কে বা কারা গুদামের আলমারি লকার ভেঙে সোনাগুলো নিয়ে যান বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। শুল্ক বিভাগ বলছে, চুরি হওয়া এ সোনার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা মাসুদ রানা যুগ্ম কমিশনারকে বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড শাখার কাছে শুল্ক বিভাগের গুদামের মূল্যবান পণ্যসামগ্রী রাখার একটি স্টিলের আলমারির লক ভাঙা বলে জানান।

Advertisement

টিটি/এমএইচআর