ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
Advertisement
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচি থেকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
Advertisement
এবিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর আর কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদুজ্জামান আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে চা পান করছিলেন। এসময় ৩০ থেকে ৩২ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আসাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।
পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের মরদেহ মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
Advertisement
পরে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যায় অংশগ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। ওই দিন রাতে নিহত আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ বাদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল হাসান মনিসহ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/জেএস/জেআইএম