নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দুদকের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
Advertisement
কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগ করায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে শ্রম আদালতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিষয়টি সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী।
Advertisement
এর আগে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন।
শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনূসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় এ মামলাগুলো করেন বাদীরা। গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৭ জন ও বর্তমান একজন কর্মচারী এসব মামলার বাদী।
জানা যায়, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ায় এ মামলাগুলো করা হয়।
Advertisement
তারও আগে গত ৬ জুন একটি মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষী গ্রহণ চলছে।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটিও বিচারাধীন।
এফএইচ/জেএইচ/জিকেএস