লাইফস্টাইল

প্রতিদিন নাভিতে তেল দিলে শরীরে কী ঘটে?

নাভি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। জানলে অবাক হবেন, শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে শুধু নাভির যত্ন নিলেই। কারণ শরীরের একাধিক শিরা নাভির সঙ্গে যুক্ত থাকে।

Advertisement

আয়ুর্বেদের তথ্য অনুসারে, নিয়মিত নাভিতে তেল মালিশ করলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিস্তার মেলে। এক্ষেত্র নাভির যত্ন নিতে নারকেল তেল, সরিষার তেল, রোজমেরি অয়েল অথবা যে কোনো ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন নাভিতে তেল মালিশ করলে যেসব রোগ সারবে-

আরও পড়ুন: গ্যাসের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝবেন যেভাবে 

মন শান্ত করে

Advertisement

নাভিতে তেল প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি মন ও মেজাজ ভালো রাখতে পারবেন। ভালো মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

নাভিতে তেল ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের সব ত্বকেই পৌঁছে যায় পুষ্টি উপাদান। এতে ত্বক আরও কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

জয়েন্টের ব্যথা কমে

Advertisement

যাদের হাড়ের স্বাস্থ্য দুর্বল তারা জয়েন্টের ব্যথা উপশমে নিয়মিত নাভিতে ব্যবহার করুন তেল। এতে অনেকটাই কমতে শুরু করবে জয়েন্টের ব্যথা।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর কাছে কোন ৫ জিনিস কখনো লুকাবেন না 

চোখের শুষ্কতা কমে

নাভিতে তেল ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনি ড্রাই আইস বা শুষ্ক চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নাভিতে তেল ব্যবহারের মাধ্যমে চোখের শিরাগুলো পুষ্ট হয় ও চোখের জ্বালাপোড়া ও শুষ্কভাব কমায়।

প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে

নারী-পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে নাভিতে তেল ব্যবহারের মাধ্যমে। প্রজনন সম্পর্কি বিভিন্ন রোগও প্রতিরোধ করে এই অভ্যাস।

চুলেও পুষ্টি মেলে

চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধানেও নাভিতে ব্যবহার করতে পারেন তেল। এটি অকালে চুল পাকা ও চুল পড়ার সমস্যা কমায়।

আরও পড়ুন: মশার কামড়ে শরীরে দাগ হলে কী করবেন? 

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায় নাভিতে তেল ব্যবহারের মাধ্যমে। নিয়মিত নাভিতে তেল প্রয়োগের মাধ্যমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমিয়ে আনতে পারবেন।

নাভিও কিন্তু আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্তি নানা তথ্য দেয়। যেমন- গন্ধযুক্ত নাভি ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত ওজনের মতো স্বাস্থ্যগত জটিলতার ইঙ্গিত দেয়। সংক্রমণ ও জীবাণু থেকে নাভি রক্ষায় নিয়মিত হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস