ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম বন্দর ইজমাইলে দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এমন হামলার ঘটনা সামনে এলো।
Advertisement
সোমবার (৪ আগস্ট) রাশিয়ার দক্ষিণ উপকূলের সোচিতে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, তাদের আলোচনায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য পরিবহন চুক্তি গুরুত্ব পাবে। সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ইজমাইল বন্দর থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায়। ওডেসা অঞ্চলের দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহত্তম ওই বন্দরে প্রধান দুটি শস্য-রপ্তানি ভান্ডার অবস্থিত।
আরও পড়ুন: এরদোয়ান-পুতিনের বৈঠক যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ
ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলে ১৭টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এসব হামলার কারণে বন্দরের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
কিপার টেলিগ্রামের এক পোস্টে বলেন, ১৭টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বেশ কিছু অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইজমাইল বন্দরের বেশ কয়েকটি বসতি, গুদাম ও উৎপাদন ভবন, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শস্য চুক্তিতে রাজি হয় দেশ দুইটি। যদিও সম্প্রতি সেই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। এরপর কৃষ্ণসাগর দিয়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে জাহাজ চলাচল।
এমন পরিস্থিতিতে ফের রাশিয়াকে চুক্তিতে ফেরাতে কাজ করছেন এরদোয়ান। এবারের বৈঠকে এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এরদোয়ানের প্রধান বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকিফ কাগাতে কিলিক বলেন, আমরা এখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। শস্য করিডোর বাস্তবায়নের জন্য সারা বিশ্ব থেকে শক্তিশালী সমর্থন দেখতে পাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, সোমবারের আলোচনায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে। এমন পরিস্থিতির প্রভাব বিশ্বজুড়েই পড়ছে, তাই আমরা এ বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। কিন্তু এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের আগে কেন রাশিয়া এভাবে ইজমাইল বন্দরে কয়েক দফা ড্রোন হামলা চালালো সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বদলালেন জেলেনস্কি
শস্যচুক্তি পুনরায় কার্যকর করতে কাজ করছে জাতিসংঘও। এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তবে পরবর্তীতে রুশ কর্মকর্তারা জানান যে, তারা এই চিঠিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
টিটিএন