শিক্ষা

চূড়ান্ত সুপারিশের দাবিতে এনটিআরসিএর সামনে প্রার্থীদের মানববন্ধন

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন।

Advertisement

মানববন্ধনে প্রার্থীরা বলেন, প্রাথমিক সুপারিশের কয়েক মাস পার হলেও চূড়ান্ত সুপারিশ করা হচ্ছে না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে এনটিআরসিএ। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কাঁদা ছোড়াছুড়ি চাই না। পরিবার বেকার অবস্থায় আমরা দুঃসময় পার করছি।

চলতি সপ্তাহে সব জটিলতার নিরসন করে ৩২ হাজার শিক্ষককে চূড়ান্ত সুপারিশ করার দাবি জানান তারা।

নরসিংদী থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে এনটিআরসিএর ৩-৪ বছর লেগে যাচ্ছে। একজন প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়ার পর অনেক সময় যে চাকরি করছিলেন, তা ছেড়ে দেন। বেকার অবস্থায় উচ্চশিক্ষিতরা মাসের পর মাস এনটিআরসিএর ফাঁদে আটকে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। আমরা চাই- এ সপ্তাহের মধ্যেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ করা হোক।’

Advertisement

কুষ্টিয়া থেকে সানজিদা পারভীন বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দুই বছরেও আমরা চাকরিতে যোগদান করতে পারছি না। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় এসে আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা এ হয়রানি মেনে নেবো। দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ করে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ করে দিতে হবে।’

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় মানববন্ধনে অংশ নিতে এসেছেন রুবেল পারভেজ। তিনি বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইংরেজির শিক্ষক। এখন গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ঝুলে আছি। আমাদের বলা হচ্ছে- সহকারী মৌলভী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় চূড়ান্ত সুপারিশে দেরি হচ্ছে। অথচ সহকারী মৌলভী নেওয়া হবে মাত্র ১১০০ জন। অর্থাৎ ১১০০ প্রার্থীর জন্য বাকি ৩১ হাজার প্রার্থীকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা চাই- প্রয়োজনে সহকারী মৌলভী পদ বাদ রেখে চূড়ান্ত সুপারিশ করে আমাদের যোগদানের সুযোগ দেওয়া হোক।’

এদিকে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ না পেলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তরা আগামী সপ্তাহে এনটিআরসিএ ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশের দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষাসচিব সোলেমান খানকে স্মারকলিপি দেন চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়।

এএএইচ/জেএইচ/জিকেএস