ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার বদলে ওই সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে। এদিকে ওই সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের যোগ না দেওয়ার খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
Advertisement
স্থানীয় সময় রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি খুব হতাশ। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দেখা হবে। ডেলওয়ারের রিহোবথ বীচে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন এমন মন্তব্য করেন। তবে এ বিষয়ে তিনি খোলাসা করে কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে আসছেন বাইডেন
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে সফর করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় তিনি জি২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
Advertisement
এবারের জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। বছরজুড়ে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একাধিক বৈঠক হয়েছে। আগামী ৮, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে মূল সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যেতে পারেন এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গেছে। শুধু তিনিই নন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এবারের সম্মেলনে থাকছেন না।
অপরদিকে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি সফর করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কানাডায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গোলাগুলি, হতাহত ৮
Advertisement
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর তিনি জি২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এবারের সম্মেলনে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি স্থানান্তর, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবিলায় বিভিন্ন যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন বিশ্ব নেতারা।
তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা করবেন। এছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা। যেন বিশ্বব্যাপী যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলা করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আরও কঠোরভাবে লড়াই করা যায়।
টিটিএন