রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবু সুফিয়ান। তিনি ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখার (দিবা) ইংরেজির শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও ওই শাখার ছাত্রী।
Advertisement
গত ২৯ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা এ ব্যাপারে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ৩০ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সহকারী কমিশনার আল-আমিন হালদারকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের বসুন্ধরা শাখার নবম শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্রী। ওই শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আবু সুফিয়ানের কাছে সে প্রাইভেট পড়তো। প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে অশালীন এসএমএস পাঠিয়েছে। যেগুলো খুবই আপত্তিকর ও সম্মানহানিকর। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। আমি এ ঘটনার প্রতিকার চাই।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ২ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুনানি গ্রহণ করে প্রতিবেদন দিতে একটু দেরি হয়েছে। হয়তো আজকে (সোমবার) প্রতিবেদন হাতে পাবো। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
এদিকে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভিকারুননিসা স্কুলে বসুন্ধরা শাখায় গিয়ে শিক্ষকদের বক্তব্য নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার আল-আমিন হালদার। বসুন্ধরা শাখার (দিবা) প্রধান জগদীশ চন্দ্র পাল, একই শাখার ৭ জন সিনিয়র শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষককে নিয়ে শুনানি করেন তিনি।
তদন্ত কর্মকর্তা আল-আমিন হালদার সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জাগো নিউজকে বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে যা উঠে এসেছে তা নিয়ে এখন প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলছে। আশা করছি, আজই (সোমবার) প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে এবং তদন্ত চলছে। বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু তদন্ত চলছে, প্রতিবেদন কী আসে সেটা দেখতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবো।
এএএইচ/এসএনআর/জেআইএম
Advertisement