জাতীয়

নিজের সন্তান আইসিইউতে রেখে অন্যের নবজাতক চুরি করেন নুসরাত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে কামরাঙ্গীরচর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আব্দুল্লাহ নামের ওই নবজাতক এখন মায়ের কোলে। নুসরাত নামের এক নারী আব্দুল্লাহকে চুরি করেন। নুসরাতের সন্তান আইসিইউতে থাকায় অন্যের নবজাতক চুরি করেন তিনি।

Advertisement

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সুস্থ অবস্থায় আব্দুল্লাহকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথমে পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং পুলিশের আপ্রাণ চেষ্টায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাচ্চাটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাচ্চাটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তবে শিশুটির মা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই আমরা তাদের রিলিজ করে দেবো।’

আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেলে চুরি হওয়া নবজাতক কামরাঙ্গীরচরে উদ্ধার 

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের ঢাকা মেডিকেল সম্পূর্ণ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরার আওতায়। একটার বিপরীতে আরেকটা ক্যামেরা লাগানো, যেন কোনো ফুটেজ আমাদের মিসিং না হয়। বাচ্চাটি চুরি হওয়ার পর আমরা কিন্তু দেখতে পেয়েছি কে বাচ্চাদের চুরি করে নিয়ে গেলো। তবে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা প্রথম থেকে ধারণা করেছিলাম পাশের বেডে যে নারী ছিলেন তিনি এই কাজ করেছেন। পরে পুলিশ তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং তদন্তের মাধ্যমে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।’

ওই নবজাতকের মা শাহিনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার আব্দুল্লাহরে আমি ফিরে পাইছি এটাই আমার বড় আনন্দ। এখন আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে চাই।’

ডিএমপির রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘নিজের শিশুকে আইসিইউতে রেখে অন্যের নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যান নুসরাত। পরে কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।’

গত ২৬ আগস্ট ঢামেকে রাজধানীর মিরপুর রূপনগরের বাসিন্দা শাহিনা ছেলে সন্তান জন্ম দেন। পরে ৩১ আগস্ট দুপুরে হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুমন্ত শাহিনার পাশ থেকে চুরি হয় তার তিনদিন বয়সী সন্তান আব্দুল্লাহ। চুরির ঘটনায় ৩১ আগস্ট শিশুটির বাবা হিরণ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

Advertisement

কাজী আল-আমিন/কেএসআর/জিকেএস