শিক্ষা

৩২ হাজার শিক্ষককে চূড়ান্ত সুপারিশে মন্ত্রীকে স্মারকলিপি

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত ৩২ হাজার শিক্ষকের দ্রুত যোগদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবকে স্মারকলিপি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

রোববার (৩ আগস্ট) ইমরান খান ও রাশেদ অর্নব নামে দুজন প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পক্ষে এ স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সুপারিশের ছয়মাস পার হতে চললেও এ পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশের পথ উন্মুক্ত হয়নি। এতে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চরম হতাশ। তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। উচ্চশিক্ষিত এসব বেকাররা পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সমাজ থেকে নিগৃহীত হচ্ছেন। অনিশ্চয়তা, হতাশা ও অর্থকষ্টে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে যদি ৩-৪ বছর লেগে যায়, তাহলে এনটিআরসিএ’র অধীনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি উচ্চশিক্ষিত বেকাররা আস্থা হারাবেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল ক্ষতির শঙ্কাও সৃষ্টি হবে। এনটিআরসিএর শিক্ষক নিয়োগে এ দীর্ঘসূত্রতা উচ্চশিক্ষিত বেকারদের যেমন হতাশ ও নিরুৎসাহিত করছে, তেমনই শিক্ষক ঘাটতি দ্রুত পূরণ না হওয়ায় পাঠদান ও শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

Advertisement

চলমান শিখন ঘাটতি পূরণ, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও শিক্ষার সার্বিক উন্নতিকল্পে ৩২ হাজার শিক্ষককে অতি দ্রুত নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে তারা দ্রুত এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।

এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়।

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস

Advertisement