বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ১০৬টি সোনার বার উদ্ধার করলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএসএফ এবং কলকাতা রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের বিজয়পুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এসব সোনা উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় দুজনকে।
Advertisement
জানা গেছে, কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গোপন সূত্রে খবর পান, বিজয়পুর গ্রামের কোনো এক বাড়িতে কয়েকটি কোটি রুপির সোনার বার লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারা এই তথ্য জানান বিএসএফ কর্মকর্তাদের।
খবর পেয়ে বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডের নেতৃত্বে একটি দল সীমান্তবর্তী গ্রাম বিজয়পুরে পৌঁছায়। সেই সঙ্গে কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি দলও ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে ৪ কোটি টাকার সোনা পাচার, পেট্রাপোলে আটক ১
Advertisement
দল দুটি যৌথভাবে সন্দেহভাজন বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মালিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত ৯টার দিকে ঘরের ভেতরের আবর্জনা স্তূপ থেকে দু'টি কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ উদ্ধার করে বিএসএফ ও ডিআরআই।
ব্যাগ দুটি খুলে সেখান থেকে বিভিন্ন মাপের মোট ১০৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে বিধান ঘোষ নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করেন বিএসএফ ও ডিআরআই কর্মকর্তারা। তারা দু'জনই বিজয়পুরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন>> ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছিল অবৈধ অস্ত্র
জব্দ করা সোনার বারগুলোর মোট ওজন ১৪ কেজি ২৯৬ গ্রাম। এর আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে আট কোটি রুপি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে: মমতা
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ ও নাসিফ নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে এসব সোনা নিয়েছিলেন তিনি। সেগুলো বিজয়পুরের পাশ্ববর্তী গ্রাম গেঁদের বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
জব্দ সোনাসহ দুই চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ডিডি/কেএএ/