২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত হবে ভারত। যেখানে কোনো দুর্নীতি, জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতার স্থান থাকবে না। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই মতপ্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Advertisement
নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিশ্ব জিডিপি কেন্দ্রিক দৃশ্যপট থেকে মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই বিষয়ে অনুঘটকের কাজ করছে ভারত। বিশ্বের কল্যাণের জন্য পথপ্রদর্শক নীতি হতে পারে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ভাবনা।
আরও পড়ুন>এরদোয়ান-পুতিনের বৈঠক যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে মোদী বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে অনেক ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি তার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি বিষয়। তিনি আরও বলেছেন, জি২০- র ক্ষেত্রে ভারতের কথা ও দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বের স্তরে শুধু একটি ধারণা নয় বরং ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি তথাকথিত থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বের দেশের ক্ষেত্রেও আস্থার বীজ বপন করেছে।
Advertisement
মোদী জানিয়েছেন, ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির থিম হলো 'বসুধৈব কুটুম্বকম'। এটি শুধুমাত্র একটি স্লোগান নয়। বরং আমাদের সাংস্কৃতিক রীতিনীতি থেকে প্রাপ্ত দর্শন।
ভারতীয়রা সারাবছরব্যাপী জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যুক্ত রয়েছেন। এই সম্মেলনে আফ্রিকা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সবার কথা না শুনে পৃথিবীর কোনো ভবিষ্যত পরিকল্পনা কখনো সফল হবে না বলেও জানান তিনি।
মোদী আরও বলেন, দীর্ঘকাল ভারতকে ১০০ কোটি ক্ষুধার্থ মানুষের দেশ হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু এখান সেখানে রয়েছে ১০০ কোটি উচ্চাকাঙ্খী মন। ২০০ কোটি দক্ষ হাত। ভারতীয়দের কাছে বিকাশের ভিত্তি স্থাপনের দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে, যা আগামী হাজার বছর ধরে স্মরণ করা হবে।
আরও পড়ুন>মন্দার দিকে যাচ্ছে ইউরোপের অর্থনীতি
Advertisement
তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের অর্থনীতির নিরিখে প্রথম তিনে স্থান পাবে ভারত। এক দশকেরও কম সময়ে আমাদের দেশ অর্থনীতিতে পাঁচ ধাপ এগিয়ে গেছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস
এমএসএম