জাতীয়

চাক্তাইয়ের সেই কারখানায় অভিযান, মিললো ১৪ ধরনের অননুমোদিত প্যাকেট

চট্টগ্রামের চাক্তাইয়ের ৩৭ অলি মিয়া লেনের সেই চা পাতার অবৈধ কারখানায় মিলেছে ১৪ ধরনের অননুমোদিত চায়ের প্যাকেট। মেসার্স নিজাম টি হাউজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের নিচে দোকানের কার্যক্রম চললেও কাঠের মাচাইয়ের মতো দ্বিতীয় তলায় চলছে চা পাতা প্যাকেজিংয়ের কাজ। একই চা পাতা কয়েক ধরনের প্যাকেটে ভর্তি করে মেশিনের মাধ্যমে মেয়াদের সিল মারা হচ্ছে। বাংলাদেশ চা-বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে এ চিত্র।

Advertisement

এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-সচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান এবং বাকলিয়া থাকার পুলিশ সদস্যরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>> চায়ের অবৈধ কারবার ‘পঞ্চগড় টু চট্টগ্রাম’

এসময় চট্টলা টি হাউজকে ২০ হাজার টাকা এবং হাসান টি অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধীকারী আবুল কাসেমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে চায়ের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

Advertisement

এর আগে রোববার সকালে ‘চায়ের অবৈধ কারবার ‘পঞ্চগড় টু চট্টগ্রাম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ। প্রকাশিত প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে অবৈধ চা বাজারজাতকরণের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের সূত্র ধরেই রোববার বিকেল ৩টার দিকে চাক্তাইয়ে অভিযান পরিচালনা করে চা-বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে চা ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স না থাকা, অনুমোদনহীন চা ব্র্যান্ড ও নকল প্যাকেট ব্যবহার এবং চা ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন।

আরও পড়ুন>>> চাষিরা চা পাতার ন্যায্যমূল্য না পেলে অকশন সেন্টার মূল্যহীন

অভিযানের সময় ব্যবসায়ীরা চা ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স, বিএসটিআইয়ো লাইসেন্স এবং চা ক্রয়-বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়া অনুমোদনহীন নকল প্যাকেট ও ব্যান্ড ব্যবহার করে চা বাজারজাত করছিল বলেও প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Advertisement

অভিযানের বিষয়ে চা-বোর্ডের উপ-সচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, চাক্তাই বাজার থেকে অনুমোদনহীন নকল চায়ের প্যাকেট ও ব্র্যান্ড ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চা বাজারজাতকরণ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাক্তাইয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। চা ব্যবসায় যেসব অনিয়ম রয়েছে তা প্রতিরোধে সারাদেশে চা বোর্ড অভিযান পরিচালনা করছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস