অবশেষে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা উড়াল সড়ক)। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এর ওপর দিয়ে শুরু হয় যান চলাচল। তবে এক্সপ্রেসওয়ের অধিকাংশ র্যাম্পে গাড়ির জটলা দেখা গেছে। র্যাম্পগুলোতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ তৎপরতা চোখে পড়েছে। একই সঙ্গে এ সমস্যা নিরসনে বাড়তি পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছ ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
Advertisement
বিমানবন্দর প্রান্ত হতে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়ালসড়কে মোট ১৫টি র্যাম্প নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি খুলে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে রোববার অধিকাংশ র্যাম্পেই জটলা দেখা যায়। এর মধ্যে ফার্মগেট র্যাম্পের জটলা ছড়িয়ে পড়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত। হঠাৎ বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
আরও পড়ুন>> ‘মুহূর্তেই চলে এলাম, এ যেন বাইরের কোনো দেশ’
Advertisement
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমেই জটলায় পড়েন সামিউল হক। তিনি উত্তরা থেকে মোহাম্মদপুর যাচ্ছিলেন। সামিউল জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুব দ্রুত আসলাম আলহামদুলিল্লাহ। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওঠা-নামার পথগুলো যেন মসৃণ হয়।’
জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওঠা-নামার রুটগুলো নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসবে ট্রাফিক বিভাগ।
আরও পড়ুন>> এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে না পারার আক্ষেপ বাইকারদের
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক তেজগাঁও ডিভিশন) মোস্তফা আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎ করে যানবাহনের চাপ বাড়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওঠা-নামার পথগুলোতে জটলা হচ্ছে। আজ চলাচল শুরু হলো। আর কী কী সমস্যা হয় সেগুলো শনাক্ত করে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা বৈঠক করবো। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে যেন হকার না বসে, আমরা সিটি করপোরেশনসহ সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করবো।’
Advertisement
এমওএস/ইএ/এমএস