মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই দুই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বহাল রইলো।
Advertisement
এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, এম সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন মিয়াজী। এছাড়া আদালতে এ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ।
Advertisement
রায়ের পরে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী জানান, সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তাই রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ৩০ জুলাই পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সীমানা পুর্ননির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
এ সংক্রান্ত বিষয়ে ওই দুই আসনের পাঁচ বাসিন্দার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকের্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
Advertisement
পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। এদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার নাজমুল ইসলাম শরীফ।
এফএইচ/বিএ/এমএইচআর/জেআইএম