মমিনুল হক। থাকেন মোহাম্মদপুরের বসিলায়। সকালে বড় ভাই সৌদি আরবের জেদ্দা যাবেন। প্রাইভেটকারে বিমানবন্দরে ভাইকে পৌঁছে দিয়ে আবার ফিলে এলেন।
Advertisement
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অভিজ্ঞতার কথা বললেন ফার্মগেট র্যাম্পে পৌঁছার পর।
আরও পড়ুন> এক্সপ্রেসওয়ে যানজটমুক্ত থাকলে টোলে আপত্তি নেই নগরবাসীর
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুহূর্তেই চলে এলাম, আলহামদুলিল্লাহ। এক্সপ্রেসওয়ে ওঠে আলাদা ঢাকা মনে হয়েছে, এ যেন বাইরের কোনো দেশ। একটা আলাদা অভিজ্ঞতা, অনেক ভালো লাগছে। ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কাকলি ও বনানীর কোনো জটলায় পড়তে হয়নি।
Advertisement
উাড়ালসড়কের অভিজ্ঞতায় টোল দেওয়ার কথা ৮০ টাকা, অনেকে ভুলেই গেছেন সেকথা।
উত্তরা থেকে ধানমন্ডি যাবেন শাহাদাত হোসেন। কথা হয় ফার্মগেটে। শাহাদাত হোসেন বলেন, ৮০ টাকা টোল উসুল। এতো কম সময়ে আসবো ভাবিনি। ১০ মিনিটে আসতে পারতাম কিন্তু ১৭ মিনিটে এসেছি। ঢাকা শহর ওপর থেকে দেখতে দেখতে এসেছি।
আরও পড়ুন> এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পরও বনানী-মহাখালীতে তীব্র যানজট
বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (ঢাকা উড়ালসড়ক) যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় যান চলাচল।
Advertisement
দুর্ঘটনা কমাতে উড়ালপথটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা। তবে একাধিক সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল উড়ালসড়কে ওঠার চেষ্টা চালায়। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কারণে র্যাম্প পার হতে পারেনি এসব যানের চালক।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা এলাকা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরত্বের এ পথে যাতায়াতে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট।
আরও পড়ুন> এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ বাস চলাচল কম, ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছিলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর বিমানবন্দর সড়কে (শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরণি) যে যানজটের ভোগান্তি ছিল তা কিছুটা হলেও কমবে। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর বসে থাকতে হবে না গাড়িতে।
এমওএস/এসএনআর/এমএস