ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় এতিম না থাকার পরেও সরকারি বরাদ্দের সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এতিমখানার সম্পাদক ও হেতালবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করছেন। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম তার নিজের গ্রামে হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক নামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩-২০১৪ সালে ক্যাপ্টেনশন গ্রান্ট মঞ্জুর করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেজিস্টারে ৭৯ জন এতিম ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়। এরপর ২০২১ সালে ২৪ নভেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন ওই এতিমখানা পরিদর্শনে যান তখন তিনি কোনো এতিম নিবাসী থাকার তথ্য পাননি। এতিম নিবাসী না থাকায় তিনি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বন্ধ করে দেন।
দুদক ওই এতিমখানায় চলিত বছরের ১০ জানুয়ারি অভিযান যায়। এ সময় এতিমখানায় কোনো এতিম নিবাসী পাওয়া যায়নি। অথচ এতিমখানা কর্তৃপক্ষ দুই অর্থ বছরে ৭৬ জন এতিম দেখিয়ে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আনে এবং ওই টাকা পুরোটাই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
দুদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়ার পর প্রতারণার মাধ্যমে এতিম না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া এতিম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩০ আগস্ট পেনাল কোডের ৪০৯/৪২০ ধারায় মামলা হয়।
মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, অনুসন্ধানকালে দুদক হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় অর্থ আত্মসাতের তথ্য পায়। এতিম না থাকা সত্ত্বেও এতিমের ভুয়া নামে বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। মামলাটি করার পর থেকে তদন্ত কাজ চলছে।
আতিকুর রহমান/এসজে/জেআইএম
Advertisement