ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লি ওয়াং জুন বলেন, আমরা করোনা সংকটের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বাংলাদেশ সরকারের নানা খাতে আরও সহযোগিতা করতে চাই। বাংলাদেশে ফোরলেন, সংযোগ সড়কসহ নানা উন্নয়নে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি।
Advertisement
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বিনিয়োগকারী কোম্পানির প্রধান।
লি ওয়াং জুন আরও বলেন, এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছে। যে কারণে আমরা কাজটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইতালি ও চাইনিজ সরকারও দারুণ ভূমিকা রেখেছে। যে কারণে এ জনবহুল শহরে এটা নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তিন বছর করোনা সংকটের মধ্যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশ সরকারে নানা খাতে আরও সহযোগিতা করতে চাই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার সৌন্দর্য বাড়াবে। এটা একদিকে, ঢাকার সৌন্দর্য বাড়াবে, অন্যদিকে যানজট নিরসনে দারুণ ভূমিকা রাখবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো অপারেশন গ্রুপ (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ।
Advertisement
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকৃত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২৭ শতাংশ বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। এর পরিমাণ ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ বিনিয়োগকারী আর্থিক সংস্থা চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আইসিবিসি) সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই করা হয়। এরমধ্যে মোট ৩৮২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।
এমওএস/এমএএইচ/জেআইএম