ধর্ম

মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে বেচাকেনা যে সব শর্তে বৈধ

বেচকেনা যেভাবে কথা বলার মাধ্যমে হয়, প্রয়োজন পড়লে চিঠি বা মেসেজ আদান প্রদানের মাধ্যমেও বেচাকেনা হতে পারে। শর্ত হলো বিক্রয়ের বস্তু এবং তার মূল্য এমনভাবে নির্দিষ্ট করা হবে যে লেনদেনে কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না এবং ভবিষ্যতে দ্বন্দ্বের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।

Advertisement

আরেকটি বিষয় হলো, মেসেজে বেচাকেনায় বিক্রিত বস্তু স্বর্ণ বা রৌপ্য হতে পারবে না এবং মূল্য ও বিক্রিত বস্তু একই জিনিস হতে পারবে না। যেহেতু এ রকম বেচাকেনায় মূল্য ও পণ্য একসাথে হাতবদল হয়ে যাওয়া জরুরী। রাসুল (সা.) বলেছেন,

الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ , وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ , وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ , وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ , وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ , فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍস্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য রৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে লেনদেন সমান সমান ও হাতে হাতে হতে হবে; তবে এ জাতীয় দ্রব্যগুলোর বিনিময় যখন একটা অপরটার সাথে হবে তখন তোমরা যেভাবে খুশি বিক্রয় করতে পারবে, যদি তা হাতে হাতে অর্থাৎ নগদ নগদ হয়। (সহিহ মুসলিম)

লেখার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে আল্লামা শামি (রহ.) বলেন, বেচাকেনা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের পক্ষ থেকে চিঠি লেখার মাধ্যমে হতে পারে। যদি বিক্রেতা লেখে, আমি এত মূল্যে তোমার অমুক জিনিসটি ক্রয় করলাম, এবং বিক্রেতাও চিঠি লিখে সম্মতি জানায়, তাহলে বেচাকেনা সম্পন্ন হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার: ৪/৮১২)

Advertisement

তার ফতোয়া অনুযায়ী চিঠির সাথে মিল থাকায় ইমেইল, ফ্যাক্স, মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে বেচাকেনা বৈধ হবে যদি পণ্যের বর্ণনা সঠিকভাবে দেওয়া হয় এবং পণ্য ও মূল্য এমনভাবে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয় যে পরে তাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের আশংকা নেই।

উপরোক্ত শর্তগুলো পাওয়া গেলে ফোনে কথা বলার মাধ্যমেও বেচাকেনা বৈধ।

ওএফএফ/জেআইএম

Advertisement