আমরা মানুষকে এক এক ধরনের পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিচার করি। আমরা মনে করি যারা অনেক আয় করে তারা অনেক ধনী। কখনো মনে করি যারা অনেক ব্যয় করে তারা অনেক ধনী। কিন্তু আলটিমেটলি ব্যাপারগুলো কি তাই? আমরা বিষয়টা একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখতে চাই। কারণ এক বিজ্ঞজন বলেছিলেন যে ব্যক্তি অনেক খরচ করে, সে কখনো ধনী হতে পারে না। কিন্তু আপাতত আমাদের মনে হয় যারা বেশি খরচ করছে তারা ধনী না হলে কীভাবে খরচটা করছে। কিন্তু যাদের আয় বেশি তারাই কি প্রকৃত ধনী? এটা নিয়ে একটু গভীরে আলোকপাত করা যাক।
Advertisement
আমি এক ভদ্রলোককে জানি, যিনি টানা দশ বছর দুটো বিদেশি কোম্পানির কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন। পাঁচ লাখের ওপরে বেতন পেতেন। এখন উনি কোথাও কাজ করছেন না, মূলত বেকার। বাসায় বসে সময় কাটে তার। এমন একটা উচ্চ পজিশনে উনি পৌঁছে গিয়েছিলেন যে এখন ছোটখাটো চাকরি তার ভালো লাগে না। চাকরি নাই বছর দুয়েক হবে। কিন্তু এর মধ্যেই উনার যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা মারাত্মক। উনার হাতে কোনো টাকা নেই। তিনি এখন চলতে পারছেন না। কখনো কখনো বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাকে। কখনো কোথাও অল্প কিছু আয় করছেন কাজ করে।
একটু চিন্তা করে দেখেছেন যে ব্যক্তি টানা দশ বছর পাঁচ লাখ টাকার ওপরে বেতন পেয়েছেন আজ তার অবস্থা এমন কেন হলো? এখন তার মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে. তার মানে এখানে একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট সেটা হচ্ছে আপনার আয় বেশি হলেই যে, আপনি বেশি ধনী হবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। টাকা অনেক আয় করা এনসিওর করে না যে, আপনি অনেক ধনী হবেন। অনেক মানুষ আপনার চারপাশে দেখবেন যারা জীবনে অনেক আয় করছেন কিন্তু একটা সময় পর তাদের হাতে কোনো টাকা নেই।
এখানে ধনী কথাটার একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। এখানে ধনী বলতে আমি মূলত তাকে বুঝেয়েছি যিনি আর্থিকভাবে সচ্ছল আর্থিকভাবে স্বাধীন, মানে ওয়েলদি। আর রিচ যে শব্দটা এর আসলে কোনো মাপকাঠি নেই। কে কত টাকায় নিজেকে ধনী মনে করে, সেটাই হচ্ছে ব্যাপার। আবার মিলিয়নিয়ার বললে বুঝি যিনি এক মিলিয়ন ডলারের মালিক তিনি হচ্ছেন মিলিয়নিয়ার।
Advertisement
যা হোক, আপনি এখন কাজ করছেন, আপনি যেভাবে আপনার জীবন চালাচ্ছেন, একসময় যখন কাজ করবেন না তখনও আপনি চাইবেন আপনার জীবনের মানটা ঠিক সেরকমভাবে ধরে রাখতে। আপনার এখনকার যে অর্জিত টাকা সেই টাকা থেকে যে প্রফিট বা বেনিফিট আপনার আসবে সেই বেনিফিট দিয়ে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারেন মূল টাকায় হাত না দিয়ে তাহলে আপনি আপনার অর্জিত অর্থের ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করেছেন ধরে নিতে হবে।
আয় অনেক করছেন তার অর্থ কিন্তু এই না যে আপনি অনেক টাকার মালিক হবেন। অনেক মানুষকেই আপনি দেখবেন অনেক আয় করেছেন কিন্তু হাতে কিছু নেই, চাকরি শেষে বা ইনকাম যখন তার বন্ধ হয়ে গেছে তখন দেখা গেছে মাথার ওপর ঋণের পাহাড়।
কেন এমন হয়, এখানে বিষয়টা কি? যদি আপনার অনেক আয় হয় তাহলে আপনার জীবন মান হবে এক রকম। আপনার যদি আয় কম হয় তাহলে আপনার জীবন মান হবে আরেকরকম। এই যে জীবন মান, এই জীবন মানটাই আপনাকে ভবিষ্যৎ ধরে রাখতে হবে। ধরে রাখতে পারলে আপনি আর্থিকভাবে স্বাধীন। এখানে কিন্তু আমি টাকার অংকের কথা বলছি না।
অনেক টাকা আয় করা মানেই আপনি অনেক ধনী এই কথা ঠিক নয়। টাকা আপনার হাতে আসছে, আপনি টাকা খরচ করার অধিকার রাখেন। কিন্তু ধনী হওয়া আরেকটি ব্যাপার। সেজন্য দীর্ঘসময় ধরে একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনার সাধ্যের বাইরে চললে আপনি কখনো ধনী হবেন না। তবে আলোচিত পরামর্শগুলো ভালোভাবে শুনলে এবং মেনে চললে আপনি ধনী হবেন, ধনী থাকবেন এবং আশা করি আপনার জীবন সুন্দর হবে।
Advertisement
অনেক আয় আপনার অনেক সম্পদের গ্যারান্টি দেয় না। কেন দেয় না? কারণ, ধরুন, আপনি আয় করছেন মাসে পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ করছেন মাসে ছয় লাখ টাকা। অর্থাৎ এক লাখ টাকা প্রতি মাসে ঋণ করছেন। আপনি আপনার সাধ্যের বাইরে গিয়ে চলছেন। কিন্তু যদি আপনার পাঁচ লাখ টাকা আয় হয় এবং তিন লাখ টাকা খরচ হয়, তাহলে আপনার দুই লাখ টাকা সঞ্চয় হতে পারে। এই সঞ্চয় যদি কন্টিনিউ করতে থাকে, তাহলে এই সঞ্চয় একসময় বড় হতে হতে অনেক বড় আকার ধারণ করবে। যদি এভাবে চলতে থাকে আপনি বিনিয়োগ করেন বুঝেশুনে তাহলে আপনার জীবনে টাকার পাহাড় জমে যাবে। একসময় আপনি অনেক ধনী হয়ে উঠবেন।
আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে, অনেক আয় করার পরও যদি মানুষ ধনী হতে না পারে তাহলে তার ধনী হওয়ার ফর্মুলাগুলো কি কি? প্রথম কাজ হচ্ছে, আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে প্রথম যে জিনিসটা দরকার, সেটা হচ্ছে আপনার পার্সোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত জ্ঞান থাকতে হবে। এই জ্ঞান শুধু আপনার নিজের থাকতে হবে। অন্য কারও কাছ থেকে জ্ঞান ভাড়া করলে হবে না। এটা আপনার স্কুলে শেখায় না, কলেজে শেখায় না, বিশ্ববিদ্যালয় শেখায় না।
এটা জানতে হলে প্রচুর পড়তে হবে, আমার ইউটিউব চ্যানেল (fintfacts) দেখতে হবে এবং অন্য পার্সোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বই পড়তে ও ভিডিও দেখতে হবে, অনলাইন কোর্স করতে হবে অর্থাৎ আপনার মতো করে পার্সোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট আপনাকে শিখে নিতে হবে। আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞান আপনার আয়ত্ত করতে হবে। কারণ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ লাইফ স্কিল। অনেক মানুষের এই লাইফ স্কিল এমনিই আছে। যাদের নেই তাদের এই স্কিল শেখার দরকার আছে। শিখলে আপনার যে সহজাত জ্ঞান আছে তার সাথে এ শিক্ষা যোগ হয়ে, আপনার দক্ষতা অনেক বেড়ে যাবে।
দুই. যা আয় করছেন সে আয়ের মধ্যে আপনাকে চলতে হবে। একটা বাজেট করে নিতে হবে। সেই বাজেটের মধ্যে আপনাকে চলতে হবে এবং সেই বাজেট হবে আপনার, যা আয় তার চাইতে বেশ কম। কোনো মাসে আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি করা যাবে না। এবং বড় কোনো খরচের জন্য আপনাকে আগে থেকেই প্ল্যান করতে হবে, আগে থেকে আপনাকে ফান্ড রেডি করতে হবে। অন্য জায়গায় আপনি ইনভেস্ট করে রেখেছেন বা সঞ্চয় করে রেখেছেন, সেই টাকা উঠিয়ে আপনি এই বড় খরচটা করবেন না।
তিন. সেভিংস, সেভিংস অ্যান্ড সেভিংস। ওয়ারেন্ট বাফেটের একটা কথা মনে করিয়ে দেই। খরচ করার পরে যেটা থাকে সেটা আপনি সেভিংস করবেন না বরং সেভিংস করার পরে যেটা আপনার থাকবে সেটা আপনি খরচ করবেন। আপনি প্রত্যেক মাসে আয়ের একটা বড় অংশ সঞ্চয় করবেন। ইমার্জেন্সি ফান্ড আগে গঠন করবেন। তারপর অনেক টাকা সঞ্চয় হলে আপনি বিনিয়োগ করা শুরু করবেন। এই ইনভেস্ট করবেন আপনি আপনার বয়স অনুসারে।
আপনার বয়স যদি কম হয় তাহলে আপনি রিস্কি জায়গায় ইনভেস্ট করতে পারবেন, যেমন স্টক মার্কেট। বয়স যদি বেশি হয় তখন আপনি স্টক মার্কেট এ ইনভেস্ট কমিয়ে দিয়ে অন্য জায়গাগুলোতে ইনভেস্ট করবেন। আপনি ব্যাংকে টাকা রাখবেন, সঞ্চয়পত্র কিনবেন। আবার রিয়েল স্টেটে বিনিয়োগ করবেন, যদি আপনার তাড়াতাড়ি হ্যান্ড ক্যাশ প্রয়োজন না হয়। শেয়ারমার্কেট থেকে বা স্টক মার্কেট থেকে আপনার যে বেনিফিট আসছে, যে ডিভিডেন্স দিচ্ছে তারা, সেটা আবার রিইনভেস্ট করবেন।
ব্যাংকে যে টাকাটা আপনি রেখেছেন, সেই টাকা থেকে যে প্রফিট আপনি পাচ্ছেন বা সুদ পাচ্ছেন, সেই টাকা আপনি আবার ইনভেস্ট করবেন। এই যে সেভিংস-ইনভেস্টমেন্ট আবার সেভিংস- ইনভেস্টমেন্ট, এই প্রক্রিয়া সবসময় চলমান রাখবেন যতদিন আপনি আয় করতে থাকবেন। যদি আপনার আয় বন্ধ হয়ে যায়, তখন আবার ব্যাপারটা ভিন্ন। তখন সব ইনভেস্টমেন্ট এক জায়গায় পাইল্ড আপ করে, নেটওয়ার্থ এর হিসাব করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি আপনি তখনই ভালো করতে পারবেন যখন আপনার আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞান ভালো থাকবে। ওভার দ্য টাইম আপনার ইনকাম বাড়বে এবং আপনার খরচ করার ফান্ডও হাতে থাকবে। আপনি সেটিকে মেইনটেইন করবেন।
চার. নিজের আয়কৃত টাকা বা জমাকৃত টাকা বা বিনিয়োগকৃত টাকা অন্য কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই পয়েন্টটা মনে হতে পারে আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত? কিন্তু এটা খুব দারুণভাবে সম্পৃক্ত। আপনি অতীতে তাকিয়ে দেখেন আপনি যা আয় করেছেন, অন্যরা সব নষ্ট করেছে। আপনি আয় করে এমন জায়গায় রেখেছেন, সেই জায়গা থেকে টাকাটা সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এই বিষয়টি অনেক হয়।
এজন্য এ বিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে যেন আপনার টাকাটা কেউ নষ্ট করতে না পারে। আপনি টাকা আয় করছেন, এই টাকার নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছে। অন্য কেউ যেন এই টাকায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে বা আপনার ভুল ডিসিশন যেন আপনাকে বিপদে ফেলতে না পারে। এটা খুব চিন্তা ভাবনা করে করবেন। আমার এমন হয়েছে আমার ভুল ডিসিশনের কারণে আমার আয় করা টাকা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি নিজে ভুল করে আপনাদের কেন বলছি। আমি ভুল করেছি বলেই এটা বলা আমার জন্য সহজ। আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। এই ভুলটা আমি আর করব না। আপনারাও আর করেন না।
পাঁচ. নিজের যে ইনভেস্টমেন্ট পোর্টফোলিও এটি খুব দক্ষতার সাথে সাজাতে হবে। যখন বয়স কম থাকে, তখন আপনি রিস্কি ইনভেস্টমেন্টে যেতে পারেন। কারণ রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট সবসময় বেশি রিটার্ন নিয়ে আসে। স্টক এক্সচেঞ্জে ইনভেস্টমেন্ট বেশ রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আপনি যদি এটা ধৈর্যের সাথে, দক্ষতার সাথে দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে এটা থেকে যে রিটার্ন আপনার আসবে, সেটা অন্য ইনভেস্টমেন্টের থেকে অনেক বেশি।
কিন্তু যখনই আপনার বয়স ৫০ এর চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে, তখন আপনার পোর্টফোলিও আবার রিঅ্যারেঞ্জ করতে হবে। তখন আপনার রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট কমিয়ে সেফ ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে। যেমন গভর্নমেন্ট সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক এসব জায়গায় আপনাকে ইনভেস্টমেন্ট বাড়িয়ে দিতে হবে। যেগুলো রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট নয়। তখন স্টক মার্কেটে আপনার ইনভেস্টমেন্ট কমিয়ে আনতে হবে। আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জ্ঞান থাকলে, আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কি করতে হবে।
ছয়. আপনার বয়স আরও বাড়ার সাথে সাথে আপনার রিস্ক নেওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। যখন বয়স ৬০ বছরের ওপরে যাবে আপনার তখন রিস্ক নেওয়ার মতো অবস্থা থাকছে না। কারণ এই সময়ে আপনি আর আয় করছেন না। যখন আপনার ইনকাম ফ্লো বন্ধ হচ্ছে তখন আপনি আর রিস্ক নিতে পারবেন না। তখন আপনার ইনভেন্টের ওপর যে প্যাসিভ ইনকাম তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তখন আপনি একেবারে সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংকের ওপর নির্ভর করেন। এ বয়সে টাকার নিয়ন্ত্রণটা আপনার হাতে থাকুক। তাহলে অন্যের কাছে টাকা চাইতেও হবে না আপনার বা অন্যের মুখাপেক্ষি হতে হবে না।
আরেকটি বিষয়ে আপনাকে সতর্ক করি। যখন আপনি রিটায়ারমেন্টে চলে যাবেন তখন আপনার হাতে যে টাকা থাকবে সেই টাকা পরিবার, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব তাদের দখলে নিতে চাইবে বা তাদের কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে বলবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি যেন কোনো ধরনের লোভে পড়বেন না।
যদি আপনার সন্তানকে টাকা দিতে হয় কোনো ব্যবসায় সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকার ৪০ ভাগের বেশি আদৌ দেবেন না। বাকি ৬০ ভাগ আপনার কাছে রাখবেন। আপনার সন্তান হয়তো কষ্ট পেতে পারে বা অভিমান করতে পারে, তারপরও। ধরুন, পুরো টাকা দিলেন। যদি সেই টাকা আপনার কাছে ফেরত না আসে, তখন অন্যের কাছে আপনার টাকা চাইতে হবে। যদি টাকা দেয়, আপনি চলবেন। টাকা না দিলে আপনি চলতে পারবেন না। কোনো দরকার নেই, নিজের টাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে থাক যতদিন আপনি চলতে পারেন। যে পয়েন্টগুলো বললাম এগুলো মেনে চললে আপনি আর্থিকভাবে ভালো থাকবেন।
পরিশেষে বলি, অনেক টাকা আয় করা মানেই আপনি অনেক ধনী এই কথা ঠিক নয়। টাকা আপনার হাতে আসছে, আপনি টাকা খরচ করার অধিকার রাখেন। কিন্তু ধনী হওয়া আরেকটি ব্যাপার। সেজন্য দীর্ঘসময় ধরে একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনার সাধ্যের বাইরে চললে আপনি কখনো ধনী হবেন না। তবে আলোচিত পরামর্শগুলো ভারোভাবে শুনলে এবং মেনে চললে আপনি ধনী হবেন, ধনী থাকবেন এবং আশা করি আপনার জীবন সুন্দর হবে।
লেখক: কলাম লেখক ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ফাউন্ডার ও সিইও, ফিনপাওয়ার লিডারশীপ ইন্টারন্যাশনাল।
এইচআর/জেআইএম/ফারুক