আর কয়েক ঘণ্টা পরেই হংকং ও চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে চলেছে সুপার টাইফুন সাওলা। এর জেরে চীনশাসিত অঞ্চলটিতে জারি করা হয়েছে ঝড়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দক্ষিণ চীনে আঘাত হানতে চলা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে এটি।
Advertisement
ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে জনগণকে ঘরের বাইরে না যেতে, খোলা দরজা-জানালা থেকে দূরে থাকতে এবং নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে হংকং অবজারভেটরি। লাখ লাখ মানুষ ঝড়টির তাণ্ডবের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছে তারা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিট) ঝড়ের জন্য ৯ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এর অর্থ, ঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এখন পর্যন্ত সুপার টাইফুন সাওলার সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার।
Advertisement
হংকং অবজারভেটরি আরও বলেছে, আবহাওয়ার দ্রুত অবনতি হতে পারে। এছাড়া উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলোতে মারাত্মক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে জনসাধারণকে উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আল-জাজিরার আবহাওয়া উপস্থাপক জেফ হ্যারিংটন জানিয়েছেন, সাওলার প্রভাবে এক থেকে তিন মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। ঝড়টি হংকং এবং গুয়াংডং ছুঁয়ে যাবে নিশ্চিত। তবে কঠিন আঘাতের মুখে পড়বে ম্যাকাও।
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, সুপার টাইফুন সাওলা শুক্রবার সন্ধ্যায় হুইলাই থেকে হংকং পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করবে। ঝড়টির কারণে গুয়াংডং প্রদেশও সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র রেড অ্যালার্ট জারি করে বলেছে, টাইফুনের কারণে পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে এক লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/