বিয়েবাড়িতে বর ও বরযাত্রীদের খানাপিনায় ব্যস্ত কনে পক্ষের লোকজন। তবে কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় গাড়ি নিয়ে হঠাৎ সেখানে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান বর ও অন্যান্যরা।
Advertisement
তবে বরের দুলাভাইকে আটকের পর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিয়ের আসরটি পন্ড করে নেওয়া হয় মুচলেকা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযানে সহযোগিতা করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
জরিমানা দেওয়া বরের দুলাভাইয়ের নাম মো. ওবাইদুল ইসলাম (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো. সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে।
Advertisement
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে আদালতের ভূয়া কাগজপত্রাদি তৈরি করে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের চরবানিয়াপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. বিপ্লবের (২১) সঙ্গে জাহেদপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়। শুক্রবার বরযাত্রী নিয়ে কনে নিতে আসেন বর। সেসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
অভিযান টের পেয়ে বর ও অন্যান্য অতিথিরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে বিয়ের আসর পণ্ড করে এমন অবৈধ কাজে সহযোগিতার অপরাধে বরের দুলাভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বাল্য বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এতথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, ভূয়া কাগজপত্রাদি তৈরি করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অনুষ্ঠান করে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। অবৈধ কাজে সহযোগিতার জন্য একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আল-মামুন সাগর/এফএ/এএসএম
Advertisement