এ সময় ডেঙ্গু-ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় বলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন। এমনকি রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হতে পারে।
Advertisement
চিকিৎসকদের মতে, শিশুরা এতে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময়মতো চিকিৎসা শুরু না করলে এ অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
আরও পড়ুন: ডাক্তারের কাছে গেলে কেন তিনি জিহ্বা দেখেন?
গরমে পিপাসা মেটাতে অনেক সময় বাইরের বিভিন্ন রং-বেরঙের পানীয় পান করেন। এর মাধ্যমেও শরীরে ডায়রিয়ার জীবাণু শরীরে ঢুকতে পারে। তবে এ অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলো নিয়ম মানতেই হবে। জেনে নিন করণীয়-
Advertisement
>> চিকিৎসকদের মতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এ অসুখ এড়ানো সম্ভব। রান্নাঘর থেকে খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসন মাজার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময় ব্যবহার করুন পরিষ্কার পানি।
>> ডায়রিয়া এড়াতে সারাবছরই পরিষ্কার পানি পান করেন। রাস্তাঘাটের যে কোনো জায়গা থেকে পানি পান করবেন না। প্রয়োজনে বোতলবন্দি বা ফোটানো পানি পান করুন।
আরও পড়ুন: পা দেখেই বুঝে নিন ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন কি না
>> গরমে কোনো খাবার বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই টাটকা খাবার খান। খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
Advertisement
>> ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফুচকা, চটপটি, পানিপুরি কিংবা ভেলপুরি একেবারেই খাবেন না। যেসব খাবারে টকজল বা স্যুপের আকারে পানি সরাসরি পেটে যায়; সেসব এড়িয়ে চলুন।
>> এ সময় পাতে মৌসুমি ফল রাখুন। তবে রাস্তার কাটা ফল খাবেন না। আস্ত ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে খান। গরমে বাইরে থেকে লেবুর পানি কিংবা যে কোনো ধরনের পানীয় পান করবেন না।
জেএমএস/এসইউ/জিকেএস