বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি, দুদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় জার্মান সরকার। একই সঙ্গে যৌথ অর্থায়নে শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার স্থাপনেও সহযোগিতা দিতে আগ্রহী দেশটি।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের (ডাড) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের পরিচালক ড. কাটজা লাসচের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য দিল্লিস্থ ডাড রিজিওনাল অফিসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের সিনিয়র অ্যাডভাইজর অদিতি গোসাভি এবং ডাড বাংলাদেশের রিজিওনাল অফিসার মাহমুদুল হাসান সুমন আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ডাড পরিচালক ড. কাটজা লাসচ বলেন, জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অর্থ প্রদান করে থাকে। ইতোমধ্যে একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করা হয়েছে এবং ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি ইউজিসিকে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে অনুরোধ করেন।
ড. কাটজা লাসচ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার স্থাপন করার বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের শিক্ষক ও গবেষকরা জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামেও অংশ নিতে পারেন বলে তিনি সভাকে অবহিত করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইউজিসির পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং প্রতিনিধি দলকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রেরণের আহ্বান জানান।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতের মানোন্নয়ন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং বাংলাদেশের ইনোভেশন ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা দিতে জার্মান প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান।
এএএইচ/জেডএইচ/জিকেএস