বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হলে জাতিকে খারাপ সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি। ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের শরৎকালীন অবকাশ (ছুটি) শুরু হওয়ায় বিচারপতি হিসেবে আজই শেষ কর্মদিবস তার। এরপর তাকে আর এজলাস কক্ষে বসতে দেখা যাবে না। এ উপলক্ষে রেওয়াজ অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে দেওয়া হয় বিদায় সংবর্ধনা।
আরও পড়ুন: তারা দুই ভাই, দু’জনই আপিল বিভাগের বিচারপতি
Advertisement
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষ শাসন বিভাগ, আইন বিভাগের প্রতি আস্থা হারাতে পারে। কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারালে ওই জাতিকে খারাপ সময়ের জন্য, খারাপ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক, সংবিধানের রক্ষক। তাই বিচারকদের সাহসী ও সুবিচারক হতে হবে।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতির কার্যকাল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মামলাজট নিরসনে তার উল্লেখযোগ্য সাফল্য থাকলেও অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলা।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ দুর্বল হলে রাষ্ট্র শক্তিশালী হতে পারে না
Advertisement
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির শেষ কর্মদিবস, বিদায়ে যাবেন না আইনজীবীদের একাংশ
১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাসের পর আইনে ডিগ্রি অর্জন করে এ পেশায় যোগ দেন তিনি।
১৯৮১ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বড় ভাইও আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন, যিনি ২০২০ সালের ১৬ জুলাই অবসরে যান।
এফএইচ/জেডএইচ/এএসএম