৭০ বছরের বৃদ্ধ আবদুস সামাদ। দু`দিন আগে শাহবাগের রাস্তার পাশের আইল্যান্ডে বহু সংখ্যক তরুণ দর্শকের মাঝে চুপচাপ বসে জায়ান্ট টিভি স্ক্রিনে ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলা দেখছিলেন। বৃদ্ধের মেহেদি রং মাখা দাড়ি গোফ ও চুল দেখে কয়েক যুবক টিপ্পনী কেটে বলছিল, ‘বয়সে বড় হলেও এখন আপনি আমাগো ফ্রেন্ডস, নাকি মিছা কইলাম মুরুব্বি।’ কথা শুনে দন্তহীন মুখে হাসেন আবদুস সামাদ।যুবকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রায় সকলেই জানায়, মুরুব্বি এখন শাহবাগের জায়ান্ট স্ত্রিনে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা দেখার নিয়মিত দর্শক। এমনিতে চুপচাপ থাকেন কিন্তু বাংলাদেশের খেলার দিন চার ছয় বাউন্ডারি হলেই লাফিয়ে উঠেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আবদুস সামাদ জানান, রাজধানীর শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে গত ২৯ বছর চাকরি করছেন। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত। বাসা যাত্রাবাড়ি। ক্রিকেট খেলা দেখতে খুব ভালোবাসেন। শাহবাগের জায়ান্ট স্ত্রিনে এখন নিয়মিত খেলা দেখছেন। কিছুদিন আগেও অফিস শেষ হওয়ার পর পরই বিকেলের মধ্যে যাত্রাবাড়ির বাসায় ফিরে যেতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন খেলা দেখে দেরি করে বাসায় ফিরেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলা রাতে থাকলে খেলা দেখে আর বাসায় ফেরেন না। হাসপাতালের এক কোনে ঘুমিয়ে থাকেন বলেও জানান।আবদুস সামাদের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব ও তামিম। ভারত পাকিস্তানের খেলা দেখার সময় আইসিসি অন্যায়ভাবে তাসকিন ও আরাফাত সানিকে নিষিদ্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশকে ভয় পায় বলে আইসিসিকে দিয়ে এ অন্যায় কাজটি করিয়েছে।”এমইউ/আরএস/আরআইপি
Advertisement