ছাত্রলীগের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর)। সমাবেশকে সফল করতে এরই মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটকে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে সাতটি নির্দেশনা। এসব নির্দেশনায় নিজ ইউনিট ও তার অধীন ইউনিটগুলোতে নির্বাহী সভা, বর্ধিত সভা, কর্মিসভার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
Advertisement
তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী পোস্টার লাগানো ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। করা হয়নি কোনোধরনের প্রস্তুতি বা বর্ধিত সভা। এসব কারণে সমাবেশে যোগ দিতে অনীহা দেখা গেছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাবেশকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি হল বা শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী পরিষদের কোনোধরনের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেনি রাবি ছাত্রলীগ। শুধু লিখিত নির্দেশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের পূর্বপ্রস্তুতি। ফলে কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কর্মীরা। সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না পেয়ে নিজ উদ্যোগে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন বেশ কয়েকজন পদধারী নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাবি ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জাগো নিউজকে বলেন, এক কমিটি দিয়েই চলছে প্রায় সাত বছর। এ কারণে বর্তমান কমিটির কাছ থেকে প্রত্যাশা হারিয়ে ফেলেছেন নেতাকর্মীরা।
Advertisement
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘আমাদের নিয়ে শাখা ছাত্রলীগ বা হল ছাত্রলীগ কোনো বর্ধিত সভা করেনি। আগে ভেবেছিলাম যাবো কিন্তু এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। ফলে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না সমাবেশে যাবো কি না?’
সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশকে সফল করতে আমরা প্রতিটি হলে নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি, দুই থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা সমাবেশে অংশ নিতে পারবো। আমরা সবাই ট্রেনের টিকিট কেটেছি। আমাদের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।’
তবে সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার দাবি, দুই হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, অনেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। সেখান থেকে তারা সমাবেশে অংশ নেবেন।
সমাবেশকে সফল করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান।
Advertisement
তিনি বলেন, উপস্থিতি বাড়াতে রাবি ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে তাদের অধীন কর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন সভা করেছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘স্মারণকালের সর্ববৃহৎ’ ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জিকেএস