খেলাধুলা

এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলেন লিটন, পরিবর্তে বিজয়

জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি শ্রীলঙ্কায়। ডেঙ্গু না হলেও গত তিন-চারদিন টানা জ্বরে ভুগছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার এবং সহ-অধিনায়ক লিটন দাস। সর্বশেষ মঙ্গলবারও জানা গিয়েছিলো, জ্বর কমেছে তার। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যাওয়ার মত সুস্থ হননি।

Advertisement

অবশেষে আজ এশিয়া কাপের শুরুর দিন বিসিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হলো, এশিয়া কাপই খেলতে পারবেন না লিটন। তার পরিবর্তে দলে নেয়া হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা এনামুল হক বিজয়কে।

শ্রীলঙ্কায় এলপিএল খেলে এসে শেষ দিকে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বাংলাদেশ দল যেদিন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠবে, ওইদিনই জ্বরে আক্রান্ত হন লিটন। তীব্র জ্বর থাকার কারণে শঙ্কা ছিল, ডেঙ্গু কি না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা গেলো, ডেঙ্গু নয়। তবে, তিনি ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত।

জ্বর কিছুটা কমে এলেও লিটন পুরোপুরি সুস্থ নন। জ্বরের কারণে শারীরিক দুর্বলতাও তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপের মত একটি টুর্নামেন্ট খেলার মত অবস্থায় নেই তিনি। যে কারণে লিটনের পরিবর্ত হিসেবে এনামুল হক বিজয়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৪টি ওয়ানডে খেলে বিজয় রান করেছেন ১২৫৪টি। এর মধ্যে সেঞ্চুরি রয়েছে তিনটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন বিজয়। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিজয় গিয়ে যোগ দেবেন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।

বিজয়কে দলে নেয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘সে (এনামুল বিজয়) ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের মধ্যেই ছিলো। এছাড়া তাকে বাংলাদেশ টাইগার প্রোগ্রামেও খুব কাছ থেকে মনিটর করেছি। যে কারণে, সব সময়ই সে আমাদের বিবেচনায় ছিল।’

‘লিটন দাসের অনুপস্থিতির কারণে আমাদের একজন টপ অর্ডার ব্যাটার প্রয়োজন ছিল, যিনি একই সঙ্গে উইকেটকিপিংও করতে পারবেন। সে কারণেই মূলত এনামুল হক বিজয়কে ডাকা হয়েছে।’

মজার বিষয় হলো, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের দল গঠনের উদ্দেশ্যে বিসিবি প্রথম দিনে যে ৩০-৩২ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলো, সেখানেও নাম ছিল না বিজয়ের। অর্থ্যাৎ, ওই প্রাথমিক দলেও তাকে উপেক্ষা করা হয়েছিলো। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান পেলেও বিজয় এমন উপেক্ষার শিকার হওয়ার কারণে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন।

Advertisement

এরপর এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেও যে ৭-৮ জনের স্ট্যান্ডবাই তালিকা করা হয়েছিলো, সেখানেও অনুপস্থিত ছিলেন বিজয়; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিজয়েরই দ্বারস্থ হতে হলো বিসিবির।

বাংলাদেশ স্কোয়াড

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হামান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, নাঈম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, এমানুল হক বিজয়।

আইএইচএস/