বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আমদানি-রপ্তানি তথ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, ইপিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের গরমিল রয়েছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
Advertisement
চীনের সঙ্গে আমদানি তথ্যে গরমিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভুল কাজ। এই তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভয়ঙ্কর।’
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলন কক্ষে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে মার্কিন ব্যবসায়ীদের ৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সংস্থা একেকরকম আমদানি-রপ্তানির তথ্য দিয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে এমন গরমিল প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেটা সোর্স কোথায় আছে? একটা হলো ইপিবি, আরেকটা কাস্টমস। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আছে। এখন এই ৩টা ডেটা সোর্সের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ে সমস্যা আছে বলে মনে হচ্ছে। সেটা দেখতে হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘পণ্য এক্সপোর্ট (রপ্তানি) হয়ে গেছে কিন্তু টাকা আসতে একটু সময় নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা হলো আমরা যা গ্রহণ করেছি সেটার তথ্য দেই। ইপিবি বলছে আমরা রপ্তানির পরিমাণ জানাই। টাকা আসছে কী আসে নাই তা বাংলাদেশ ব্যাংক জানে। ওখানে একটা টাইম গ্যাপ তো থাকবেই। কিন্তু তারপরেও ওটা সমন্বয় করা দরকার।’
চীন বলছে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বলছে ১৯ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি এটা বলে থাকে তাহলে তো ভয়ঙ্কর বিষয়। তার মানে আমরা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য আন্ডার ইনভয়েসিং (দাম কম দেখানো) করছি আমদানির বেলায়। তাহলে আমাদের কিছু কিছু ব্যবসায়ী এই কাজ করছেন। এটা খুবই ভুল কাজ। চীন বলছে ২৬ বিলিয়ন আর আমরা বলছি ১৯ বিলিয়ন। তার মানে বাকি টাকা আনঅফিসিয়ালি হুন্ডির মাধ্যমে বা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভয়ঙ্কর। এই কথাটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলছেন। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য যে আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে।’
এসএম/কেএসআর/এমএস
Advertisement