দেশজুড়ে

শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতাকে অব্যাহতি

যশোরের মণিরামপুরে ছেলেকে বকাঝকা করায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকাকে মারধর করার অভিযোগ গ্রেফতার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে পৌর যুবলীগের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবির সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

এর আগে গত রোববার দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনসহ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় মিজানুর রহমান মিজানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল পৌর যুবলীগ। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে জবাব না পাওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগের মনিরামপুর পৌর শাখা কমিটি।

অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। মিজানুর রহমান মনিরামপুর পৌরশহরের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পৌর শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে শ্রেণিকক্ষে মারধর অভিযোগ ওঠে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর গত ২৪ আগস্ট বিকেলে থানা-পুলিশ মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন।

Advertisement

মারধরের শিকার শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার বলেন, রাকিবুলের বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। শাসন করায় তিনি বাড়িতে গিয়ে নালিশ করে। তখন ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজন স্কুলে ছুটে আসে। এসময় আমি একটি কক্ষে দায়িত্বরত ছিলাম। মিজান এসে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে। পরে চুল ধরে টেনে মাঠে নিয়ে যায়।

দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, স্কুলের বেসিন ধরায় রাকিবুলকে ‘বাপ’ তুলে কথা বলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। এরপর রাকিবুল বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে তার বাবা এসে শিক্ষিকাকে মারধর করেন। শিক্ষিকা ও মিজানুরের বাড়ি পাশাপাশি।

এইচআরএম/এমআইএইচএস/এএসএম

Advertisement