দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নাহিদ নামের আরেক যুবক আহত হন।

Advertisement

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের আটানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসাদ উপজেলার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দের সমর্থক ও যুবলীগ কর্মী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে বসে চা পান করছিলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে ১৫-২০ জন যুবক নাইনিজ কুড়াল, রড, হকিস্টিকসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। এসময় আসাদকে তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই পা, হাত থেঁতলে দেন। তারা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে চলে যান। পরে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

ঘটনার সময় আসাদের সঙ্গে থাকা নাহিদ নামের এক যুবক আহত হন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের চাচাতো ভাই কাজী আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘কয়েকমাস ধরে সংস্কৃতি প্রতিনিধি কে এম খালিদ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দের মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগেও আসাদকে মারধর করেছে খালিদ বাবুর পালিত সন্ত্রাসীরা। ওই মামলা চলমান। ঘটনার দিন রাতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাবু, মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল আলম মনির নির্দেশে তাদের পালিত সন্ত্রাসী আমার ভাই আসাদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত করে নিয়ে এলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করবো।’

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত দুই তিনমাস ধরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাবু সঙ্গে আমার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে চার-পাঁচটা মামলা চলমান। গতকাল প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে রাশেদ শহিদসহ বেশ কয়েকজন হামলা চালিয়ে আসাদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

জানতে চাইলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাবু জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোনো হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়। যদি কেউ আমার কথা বলে থাকেন তাহলে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ত নেই। এ হত্যার জড়িত প্রত্যেকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’

Advertisement

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় রাজিব ও শহিদ নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস