কলম সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে তা দিয়ে লেখার কাজ সম্পন্ন করা। ঘড়ি সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সময় সম্পর্কে জানা। কিন্তু কলম দিয়ে যদি লেখার কাজ না হয় এবং ঘড়ি দিয়ে সময় নির্ধারণ করা না যায় তবে বুঝতে হবে, এগুলো সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। ঠিক আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকেও একটা সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়েই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। যদি সে দায়িত্ব যথাযথ পালন না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে মুসলিম জাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।তাহলে জানা দরকার মুসলিম জাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের উদ্দেশ্য কি? মুসলিম জাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের উদ্দেশ্য হলো- তাঁরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে, অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে। এটিই হলো মুসলিম জাতির আবির্ভাবের মূল কারণ।আল্লাহ বলেন-‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকবে যারা (মানুষকে সত্য ও) ন্যায়ের আদেশ দেবে এবং (অসত্য ও) অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে (অতপর যারা এ দলে শামিল হবে) সত্যিকারার্থে তারাই সাফল্যমণ্ডিত হবে। (সুরা ইমরান : আয়াত ১০৪)এ আয়াতের নিরিখে মুসলিম জনগোষ্ঠী অবশ্যই মানুষকে সৎ কাজের আদেশ তথা মানুষের জন্য কল্যাণকর সকল ভালো কাজের নির্দেশ দিবে এবং যাবতীয় অন্যায় ও অপ্রিয় কাজ থেকে মানুষকে নিষেধ করবে বা বিরত রাখবে।মানব সমাজের মৌলিক দুটি দাবি ‘ভালো কাজ চালু করা এবং মন্দ কাজ বন্ধ করার’ জন্য প্রয়োজন একটি সৎ ও নির্ভীক চিন্তাশীল পরিচালনা পর্ষদ। যার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়া আদৌ সম্ভব নয়।সুতরাং ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে যারাই এ কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে, তারাই হবে সাফল্যমণ্ডিত। তবেই পরিপূর্ণ হবে মুসলিম জাতিকে দুনিয়াতে প্রেরণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে তাঁর যথাযথ দায়িত্ব পালনের পরিবেশ ও তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement