অর্থনীতি

ডাব কেনাবেচায় রাখতে হবে রসিদ, দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা

ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ডাব কেনাবেচায় রাখতে হবে পাকা রসিদ। কোনোভাবে নায্যমূল্যের বেশি দাম নিলে ব্যবসায়ীদের জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

Advertisement

সোমবার (২৮ আগস্ট) ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে যৌক্তিকমূল্যে ডাব কেনাবেচা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক সভায় ডাবের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তারের সুযোগ নিয়ে হঠাৎ করেই ডাবের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। অসহায় রোগীদের জিম্মি করে ডাব ব্যবসায়ীদের অনৈতিক এ অতিমুনাফা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুন>>> মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ডাব

Advertisement

গত ২৪ আগস্ট গভীর রাতে কারওয়ান বাজার আড়তে অভিযান চালিয়ে পাইকারি পর্যায়ে ডাবের সর্বোচ্চ মূল্য প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো মানের ডাব খুচরায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকার বেশি হতে পারে না। যা দ্বিগুণ পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ ডাবের কেনাবেচায় কোনো রকম পাকা ভাউচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় রসিদ রাখা হয় না। এ সুযোগে ডাবের আড়ত পাইকারি খুচরা প্রতিটি স্তরে মূল্যবৃদ্ধির এক মহোৎসব চলছে। আমরা এরই মধ্যে সারাদেশে ডাব নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এর প্রভাব বাজারে পড়ছে। ডাবের মূল্য কমা শুরু করেছে। আমি সবাইকে বলেছি যতক্ষণে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০০ টাকার মধ্যে না আসবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার রাখবো।

মহাপরিচালক বলেন, মঙ্গলবার থেকেই ডাব ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাকা রসিদ সংগ্রহে রাখতে হবে। তা না হলে অভিযানের ধরলে জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন>>> ডাবের পানি যেসব রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে

Advertisement

অন্যদিকে এ বৈঠকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ ছাড়া ফলপ্রদ তেমন কিছুই হয়নি। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডেঙ্গুর সুযোগ নিয়ে খুচরা ডাবের ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভ করছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ডাবের দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বৈঠকে উঠে আসে, ডাবের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশেরই নেই কোনো ট্রেড লাইসেন্স কিংবা পাকা রসিদ। ফলে পারস্পরিক অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি ভোক্তার কর্মকর্তারা।

এনএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম