ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তুলনায় নারীদের মৃত্যুর হার অধিক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
তিনি বলেছেন, সারাদেশে মোট ভর্তি রোগীর ৬০-৬৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী। অথচ নারীদের মৃত্যু ৬৫ শতাংশ। নারীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা গ্রহণে দেরি করছেন। তাদের অসুস্থতার ক্ষেত্রে পরিবারসহ আশপাশের মানুষদের নজর দিতে হবে।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের বলরুমে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় ৪০০ কোটি, রোগীপ্রতি ৫০ হাজার
Advertisement
ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ২৩৬ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৫৩৭ জন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ৭০ শতাংশ মানুষ। দেশের অর্ধেক রোগী ঢাকা সিটি করপোরেশনে। বাকি অর্ধেক রোগী সারাদেশে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগী কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসা দেওয়া। আমরা তা করে যাচ্ছি। আমরা রোগীদের সেবায় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আমাদের তথ্য শেয়ার করছি। তাদের এডিস প্রতিরোধে সহযোগিতা করছি। আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের একে অপরকে দোষারোপ করা বন্ধ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ডিল করছি।
মশা নিধনে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ, কলকারখানায় নিয়মিত স্প্রে করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ব্যবহৃত ওষুধগুলো কতটা কার্যকর তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। কারণ মশাগুলো একটি সময় পরে ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে যায়। এ নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করতে হবে।
Advertisement
এএএম/এমএইচআর/জিকেএস