যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী হামলায় প্রাণ হারালেন তিন কৃষ্ণাঙ্গ। শনিবার (২৬ আগস্ট) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ফ্লোরিডার জ্যাকসনভাইলে এক শ্বেতাঙ্গ যুবকের গুলিতে নিহত হন তারা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি বর্ণবিদ্বেষ প্রসূত হামলা ছিল। জ্যাকসনভাইল শেরিফ অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন সুপারশপ চেইন ডলার জেনারেলের একটি আউটলেটে ঢুকে বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় ওই যুবক। এসময় তার দেহে বর্ম পরা ছিল। হামলাকারীর বয়স বিশের কোঠায়। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রে বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি, নারী-শিশুসহ নিহত ৫
আউটলেটটিতে ঢুকে বেছে বেছে তিন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করে বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গ যুবক। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিলেন।
পরে পুলিশের মুখোমুখি হলে একপর্যায়ে নিজের শরীরে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে হামলাকারী।
Advertisement
জ্যাকসনভাইল শেরিফ টি কে ওয়াটার্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটি বর্ণবিদ্বেষ প্রসূত হামলা ছিল। হামলাকারী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের ঘৃণা করতেন।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা বেড়েছে ৫২ শতাংশ
তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, হামলাকারী যুবক একাই এই কাজ করেছে। হামলার আগে সে মিডিয়া, পিতামাতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার ‘ঘৃণাত্মক মতাদর্শ’ সম্পর্কে বেশ কিছু ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছিল।
হামলাকারীর বন্দুকে একটি হাতে আঁকা স্বস্তিকা চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন শেরিফ ওয়াটার্স।
Advertisement
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। বন্দুকধারীকে ‘নির্দয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, সে বর্ণের ভিত্তিতে লোকদের নিশানা করেছিল, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন>> যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বন্দুক হামলা হয়
এর আগে, শনিবার সকালে বোস্টনে একটি ক্যারিবীয় উৎসবে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
তার আগের রাতে শিকাগোয় একটি বেসবল ম্যাচ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন দুই নারী।
এছাড়া ওকলাহামায় হাইস্কুল ফুটবল ম্যাচে তর্কবিতর্কের জেরে ১৬ বছরের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় আহত হয়েছে আরও চারজন।
আরও পড়ুন>> ‘বর্ণবাদের কারণে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়েছেন মার্কিন সেনা’
জ্যাকসনভাইলের এই হত্যাযজ্ঞের আগে ২০২২ সালের মে মাসে নিউইয়র্কের একটি সুপারমার্কেটে তাণ্ডব চালায় এক স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী। একে একে ১০ জন কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করেছিল ওই ব্যক্তি।
কেএএ/