বিয়ের পর সব দম্পতির জীবনেই বিরাট পরিবর্তন আসে। ব্যাচেলর জীবনের সব ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে একসঙ্গে জীবনযাপন করতে অঙ্গিকারবদ্ধ হন নারী-পুরুষ। আর এই কাজ সফলভাবে করতে পারলেই কিন্তু দাম্পত্যের বাগানে ফোটে বাহারি ফুলের গাছ। না হলে সংসারে অশান্তি হতে পারে যখন তখনই।
Advertisement
কথায় আছে- সংসার সুখের হয় নারী গুণে। তবে যদি কোনো নারী সংসারের দায়িত্ব নিতে কিংবা বিয়ের পর নতুন জীবনে কিছুটা ত্যাগ না করেন তাহলে দাম্পত্য কলহ দেখা দিতে পারে। শুধু নারী কেন পুরুষদেরও উচিত সংসারে অবদান রাখা।
আরও পড়ুন: বিবাহিত জীবনে সুখী ব্যক্তিরাই বেশি মোটা হন
তবে অনেক নারী আছেন যারা বিয়ের পরেও নিজেদের মতো করে চলতে পছন্দ করেন কিংবা সঙ্গীর মতামতকে প্রাধান্য দেন না। আর এই অভ্যাসের কারণে স্বামীর মনে ক্ষত তৈরি হতে পারে। যার ফলস্বরূপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব।
Advertisement
এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এতোটাই দূরত্ব তৈরি হয় যে নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে পরের স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়েন পুরুষরা। এমনকি মনে মনে এমন স্ত্রীভাগ্য না থাকার জন্য আফসোস করেন। তাই সময় থাকতেই নারীদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
বোরিং ম্যারেজ
দাম্পত্যে একটু আনন্দ না থাকলে একঘেয়েমি আসতে বাধ্য। আর এই একঘেয়েমির কারণে স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য নারীর দিকে চোখ যায় পুরুষের।
আরও পড়ুন: সঙ্গী আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না বুঝবেন যেভাবে
Advertisement
এমনকি পরস্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন পুরুষরা। তাই স্বামী যদি কোনো কারণে আপনার প্রতি রেগে থাকেন তাহলে তার কাছ থেকে দূরে না থেকে বরং রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করুন।
সব বিষয়ে ঝগড়া করা
কিছু নারী ছোটখাট বিষয়েও স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেন। আর স্ত্রীর এ বদভ্যাস স্বামীর মধ্যে বিরক্তবোধ বাড়ায়। ধীরে ধীরে তিনি নিজের স্ত্রীর থেকে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন।
আর অন্যের শান্তশিষ্ট স্ত্রী দেখলেই তিনি প্রশংসা শুরু করেন। তাই স্বামীর চোখে নিজেকে ভালো প্রমাণ করতে চাইলে কিছু বিষয়ে চাড় দিন ও কথায় কথায় ঝগড়ার অভ্যাস এড়িয়ে চলুন, দেখবেন সংসারে শান্তি ফিরবে।
আরও পড়ুন: প্রিয়জনের সঙ্গে ঝগড়া করলেও মেলে উপকার
স্বামীকে পাত্তা না দেওয়া
অনেক নারীই অত্যধিক স্বাধীনচেতা হতে গিয়ে স্বামীর সব কথা হেলায় উড়িয়ে দেন। আর স্ত্রীর এ ধরনের আচরণই স্বামীর মনে কুঠারাঘাত করে।
তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এমনকি সম্পর্ক থেকে তার মন উঠে যায়। আর এই কারণেই তিনি পরস্ত্রীর প্রশংসা করে বসেন।
ভালোবাসার প্রকাশ না করলে
স্ত্রীর চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা না দেখতে পেলে স্বামীরা মনে মনে আহত হন ও দূরত্ব বাড়তে থাকে দুজনের মধ্যে। আর মনের দুঃখ মেটাতে অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে যে ৪ ভুল করলেই বিপদে পড়বেন
তাই দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে নারীদের উচিত স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা করা। না হলে দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটতে পারে।
শুধু নারীদেরই নয় বরং সংসার সুখের করতে পুরুষদেরও উচিত স্ত্রীর ভালো-মন্দ ও তার স্বাধীনতার বিষয়ে খেয়াল রাখা। সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততা না থাকলে কিন্তু তা টিকিয়ে রাখা মুশকিল।
তাই নারী-পুরুষ উভয়েরই উচিত সংসারে শান্তি বজায় রাখতে স্ব-স্বভাবে অবদান রাখা। মতের মিল না হলেও তা যেন দাম্পত্যে দূরত্ব সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
জেএমএস/এএসএম