দেশজুড়ে

সেতুতে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

প্রায় দুই বছর আগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রোয়াচালায় একটি খালের ওপর নির্মাণ করা হয় সেতু। তবে সেতুটির দুপাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। তাই বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন এলাকাবাসী। এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। তবে এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ লাঘবে উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ এর অর্থায়নে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে কুড়াখাল রাস্তার ওপর ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে একটি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালে সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। এতে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, নারী-শিশুসহ শত শত মানুষ।

আরও পড়ুন: ট্রাকসহ ভেঙে যাওয়া সেই বেইলি সেতুর মেরামত কাজ শুরু

রোয়াচালা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকারি টাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কই নেই। এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে সেতুতে ওঠার জন্য। কিন্তু বয়স্ক ও শিশুরা ভয়ে এই সেতু দিয়ে পারাপার হন না। তারা হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক ঘুরে।

Advertisement

আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, সেতু নির্মাণ করে দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই বছরেও রাস্তা নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা চাই দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করা হোক। এতে করে আশপাশের ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে। স্থানীয় রোয়াচালা বাজার ও কুড়াখাল বাজার যাতায়াত কারীদের অন্তত তিন কিলোমিটার রাস্তা কমবে। বাঁচবে সময়ও।

এ বিষয়ে শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের জন্য মাত্র ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় অর্থ সংকটের কারণে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। নতুন বরাদ্দ পেলে সংযোগ সড়ক স্থাপন করা হবে।

আরও পড়ুন: ৭ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগে মই

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা (এলজিইডি) মোহাম্মদ রায়হানুল আলম বলেন, এই কাজ আমার নয়। ইউপি চেয়ারম্যান কুমিল্লা থেকে এনেছেন। আপনারা তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

Advertisement

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি আমার যোগদানের আগেই নির্মাণ করা হয়। সংযোগের জন্য নামমাত্র বাজেট ছিল। নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/এএসএম