ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ড্রাগন চাষ করে তানভীর আহমেদ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাফল্য অর্জন করেছেন। তার ড্রাগন চাষ দেখে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তানভীর আহমেদ উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ভদ্রকান্দা গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
Advertisement
সরেজমিনে জানা যায়, দুই বিঘা জমিতে তানভীর আহমেদের ড্রাগনের বাগান। সবুজ রঙের গাছে গাছে ঝুলছে ছোট-বড় ড্রাগন ফল। আবার কোনো গাছে ফুল আসছে। তানভীর আহমেদ ২০২০ সালে করোনাকালীন শুরু করেন ড্রাগন ফলের চাষ। এতে প্রথমে লক্ষাধিক টাকার মতো খরচ হলেও সবমিলিয়ে তার বাগানের খরচ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। তিনি এ বছর প্রায় ১ লাখ টাকার উপরে ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। এছাড়া বাগানে প্রচুর ফুল ও ফল হয়েছে। তার বাগান একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। অনেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন। অনেকেই বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির সফল কৃষি উদ্যোক্তা নুরুল আলম
পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা সোহাগ মাতুব্বর জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাগান দেখতে এসেছি। ঘুরে দেখলাম, বেশ ভালো লেগেছে। পরামর্শ নিলাম। এ ধরনের বাগান করে বেকারত্ব ঘোচানোর পাশাপাশি আলাদা একটি ভালো লাগার বিষয়ও কাজ করে। নিজেও ছোটখাটো একটা ড্রগনের বাগানের পরিকল্পনা শুরু করেছি।’
Advertisement
উদ্যোক্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘করোনার কারণে বাড়ি চলে আসি। তখন গৃহবন্দি জীবনে অলস সময় কাটতে চাইতো না। সারাক্ষণ ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থাকতে হতো। ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হই। বাগানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর লক্ষাধিক টাকার ড্রাগন ফল বিক্রিও করেছি। আশা করি সামনে উৎপাদন আরও বাড়বে। বাগানে আটশ’র মতো ড্রাগন গাছ আছে। বাগানটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন: মাচায় ঝুলছে আতিকুল্লাহর সবুজ স্বপ্ন
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, ‘ড্রাগন অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। এ ফল চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। খাবারের পুষ্টির মানও নিশ্চিত করা যায়। তানভীর আহমেদের মতো শিক্ষিত উদ্যোক্তারা কৃষিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। যারা কৃষিতে আসছেন, তাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়।’
এন কে বি নয়ন/এসইউ/এমএস
Advertisement