দেশজুড়ে

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, নদীপাড়ে আতঙ্ক

উজানের ঢলে আবারো বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন তারা।

Advertisement

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড হয়েছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর ১২টার পর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। নদীপাড়ের মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

গড্ডিমারি ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হলে অত্র এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত। তিস্তার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বন্যা দেখা দেয়। নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রবিউল হাসান/এসজে/জিকেএস

Advertisement