রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। এমনকি এ বিষয়ে নিশ্চুপ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর আগে প্লেন দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে ওয়াগনার ঘনিষ্ঠ একটি চ্যানেল বলছে, প্লেনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
Advertisement
প্রিগোজিনের মৃত্যুর পেছনে সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, গত জুনে পুতিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করার পর থেকেই এমন ভয়ংকর পরিণতি ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছিল প্রিগোজিনের জন্য।
আরও পড়ুন: পুতিনের বাবুর্চি থেকে বিদ্রোহের নেতা, কে এই প্রিগোজিন?
বুধবার একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যুর পর একটি ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আন্তর্জাতিক ওই সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেও ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যুর বিষয়ে তাকে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।
Advertisement
রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, মস্কোর কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এর ১০ আরোহীর সবাই মারা গেছেন। ওই বিমানে ছিলেন প্রিগোজিন এবং তার ডানহাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিন।
রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত প্লেন কুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয় ও এর সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ওয়াগনারের ঘনিষ্ঠ একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে, মস্কোর উত্তরে টিভের অঞ্চলে প্লেনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আগে দুটি বিস্ফোরণের মতো শব্দ পান, এরপর ধোঁয়ার দুটি রেখা দেখতে পান।
আরও পড়ুন: প্রিগোজিনের প্লেন দুর্ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন পুতিন?
Advertisement
তবে ওয়াগনারপ্রধানের মৃত্যুর বিষয়টি আরও কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হতে না পেরে এ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
গত জুনে রুশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিগোজিন। এরপর একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালেই চলে যান তিনি। প্রায় এক মাস পরে গত ২০ জুলাই প্রথমবারের মতো ফের জনসম্মুখে আসেন তিনি। এর এক মাস পার হতে না হতেই সামনে এলো প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবর।
টিটিএন