সাহিত্য

প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দ. কোরিয়া যাচ্ছেন অভিনয়শিল্পী জ্যোতি সিনহা

রফিকুল ইসলাম জসিম

Advertisement

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী সম্প্রদায়ের গুণী অভিনয়শিল্পী জ্যোতি সিনহা তার মেধা আর চর্চা দিয়েই মঞ্চকে সুরভিত করে কমলগঞ্জ থেকেই তিনি ছড়িয়ে পড়েন গোটা বাংলাদেশে, তারপর দেশের বাইরেও ছড়িয়ে যায় তাঁর অভিনয়ের সুরভি। এবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়ান ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এক মাসব্যাপী সম্মানজনক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মঞ্চের গুণী অভিনয়শিল্পী জ্যোতি সিনহা।

আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিউলে এই প্রশিক্ষণ চলবে। এটি সমন্বয় ও পরিচালনা করবে ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল সিআইডি-ইউনেস্কো, সিউল সেকশন। এতে যোগ দিতে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন জ্যোতি সিনহা।

জ্যোতি সিনহা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেছেন। পাশাপাশি মণিপুরি থিয়েটারে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে এমএস করেছেন নৃবিজ্ঞানে, এমফিল করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ২০১৭ সালে। মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা তিনি।

Advertisement

জ্যোতি সিনহা বলেন, ‘‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক সায়েম রানা এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গত মে মাসে ‘রিমান্ড’ নাটক নিয়ে যখন ব্যস্ত ছিলাম, তখন এই প্রজেক্টের ব্যাপারে জানান তিনি। আমি অ্যাপ্লাই করি, এই প্রজেক্টে ১৩টি দেশ থেকে মাত্র ১৩ জনকে নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে আমি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। পুরো প্রশিক্ষণে ৪৮টি দেশের ৪৮ জন অংশ নেবেন।’

 

জ্যোতি সিনহার নাট্যকার শুভাশিস সিনহা মণিপুরি থিয়েটারের ১৯৯৭ সালের পয়লা বৈশাখে কিশোরী জ্যোতি বিষু উৎসবের নাটক আজবপুরের বর্ষবরণ–এ রাজকন্যার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর থেকে মণিপুরি থিয়েটারের অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০০ সালে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় মঞ্চে এসেছিল শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। ২০০১ সালে ঢাকায় নাটকটি মঞ্চস্থ হলে সাড়া পড়ে যায়।২৫টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন জ্যোতি।

 

‘সাত-আট বছর আগে সিটিআই প্রশিক্ষণের বিষয়টি শুনেছিলাম। এই প্রোগ্রাম আগে ৬ মাসের ছিল। এ বছর সেটা এক মাসের করা হয়েছে। আমি ভীষণ আনন্দিত নতুন একটি সংস্কৃতিকে জানতে পারব। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে নতুন কিছু যুক্ত হবে শিল্পী জীবনে।’ বলেন জ্যোতি সিনহা।

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জ্যোতি সিনহা বলেন, ‘আমাকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দেয়ার জন্য আমার শিক্ষাগুরু শুভাশিস সিনহা, আমার মা, বোন ও মণিপুরি থিয়েটারের সকল সদস্যকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমার কর্মস্থলের সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Advertisement

উল্লেখ্য, জ্যোতি সিনহার নাট্যকার শুভাশিস সিনহা মণিপুরি থিয়েটারের ১৯৯৭ সালের পয়লা বৈশাখে কিশোরী জ্যোতি বিষু উৎসবের নাটক আজবপুরের বর্ষবরণ–এ রাজকন্যার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর থেকে মণিপুরি থিয়েটারের অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০০ সালে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় মঞ্চে এসেছিল শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। ২০০১ সালে ঢাকায় নাটকটি মঞ্চস্থ হলে সাড়া পড়ে যায়।২৫টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন জ্যোতি। নিজ দল মণিপুরি থিয়েটারের ইঙাল আধার পালা, দেবতার গ্রাস, ভানুবিল, ঢাকা থিয়েটার ও থিয়েটার আর্ট মিলে হৃৎমঞ্চ রেপার্টরিতে করি রুধির রঙ্গিনী।

এইচআর/জিকেএস