আন্তর্জাতিক

পানামায় নাব্য সংকট, আটকা পড়েছে ২ শতাধিক জাহাজ

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত শিপিং লেনগুলোর মধ্যে অন্যতম পানামা খাল। এই পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে শত শত মালবাহী জাহাজ। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী খালটিতে সম্প্রতি তীব্র পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে দু’পাশে আটকা পড়েছে দুইশ’রও বেশি জাহাজ।

Advertisement

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল এক পোস্ট থেকে জানা যায়, পানামা খালের দু’পাশে আটকে পড়া জাহাজগুলোর মধ্যে কয়েকটি তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পার হওয়ার অপেক্ষা করছে।

আরও পড়ুন>> জাহাজ আটকে পড়ায় সুয়েজ খালে যানজট

ওয়েনটেক এসপিএফএক্স নামে অ্যাকাউন্টটি থেকে বলা হয়েছে, পানামায় এই মুহূর্তে নজিরবিহীন খরার কারণে জাহাজগুলো আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খালটি পানি ভরার জন্য বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে জাহাজ পারাপার কঠিন হয়ে পড়েছে।

Advertisement

Panama. Waters. HAARP. Supply chain. Cabal intel:#REPORT More than 200 ships are in a traffic jam outside the Panama CanalOver 200 ships are currently stuck in a major traffic jam on either side of the Panama Canal, with some ships trapped for more than three weeks waiting to… pic.twitter.com/Q53XR8pwFX

— WayneTech SPFX®️ (@WayneTechSPFX) August 23, 2023

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গও পানামায় যানজটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া কিছু বিধিনিষেধের কারণে জাহাজ পারাপারের বিলম্ব আরও দীর্ঘয়িত হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> অবশেষে নড়লো সুয়েজ খালে আটকে পড়া দৈত্যাকার জাহাজ

মালামাল পরিবহন বাজার বিশ্লেষণকারী জেনেটার প্রধান বিশ্লেষক পিটার স্যান্ড বলেছেন, এখনকার চেয়ে বেশি জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কঠোরতা রয়েছে।

Advertisement

তাছাড়া, খালে পানি কমে যাওয়ার অর্থ, জাহাজগুলোকে তুলনামূলক কম পণ্য পরিবহন করতে হবে।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, পানামা খালে পানি সরবরাহকারী কৃত্রিম হ্রদ গাতুনে পানির পরিমাণ গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। পূর্বাভাস বলছে, সেখানে পানির পরিমাণ আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়েই থাকবে। যদি এর মধ্যে বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়, তবুও এই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন>> সুয়েজ খাল বন্ধে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ৪০ কোটি ডলার

এ অবস্থায় পণ্য সরবরাহকারীরা বিকল্প পথ ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ শতাংশ কন্টেইনার পরিবহন করা হয় পানামা খাল দিয়ে। ফলে খরা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শুধু উত্তর আমেরিকায় নয়, এর প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/