একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক পানির চাহিদা হলো ৩-৪ লিটার। তবে অনেকেই পানির নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করেন না নানা কারণে। দীর্ঘদিন এমনটি চলতে থাকলে এক সময় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।
Advertisement
অন্যদিকে শরীর থেকে অনেকটা পানি ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এ কারণে দিনে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়। এটি পরবর্তী সময়ে শারীরিক নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে?
তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় টের পান না যে তিনি ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন। যখন এই সমস্যা গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করে তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়।
Advertisement
জানলে অবাক হবেন, ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনি বিকলও হতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবে ইনফেকশনের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন? জানুন লক্ষণ ও প্রতিকার
ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ কী কী?
>> মাথাব্যথা>> কোষ্ঠকাঠিন্য>> দুর্বলতা ও ক্লান্তি>> শুষ্ক ত্বকে >> জয়েন্টে ব্যথা>> ওজন বেড়ে যাওয়া>> রক্তচাপ কমে যাওয়া>> প্রস্রাবে সংক্রমণ>> কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
Advertisement
আরও পড়ুন: কোন কোন উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করা জরুরি?
ঘরে কীভাবে পরীক্ষা করবেন?
ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না তা ঘরোয়া উপায়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই পরীক্ষা করা যায়। স্কিন টার্গর বা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষার মাধ্যমে এটি সহজেই জানা যায়।
এজন্য হাতের উপরের চামড়ায় দুটি আঙুল দিয়ে চিমটি দিয়ে যতটা সম্ভব চামড়া টেনে ধরুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চামড়া টেনে ধরে তারপর ছেড়ে দিন। এবার খেয়াল করে দেখুন ত্বকের রং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কি না!
যদি স্থানটি ফ্যাকশে হয় আর ত্বকের রং স্বাভাবিক হতে সময় লাগে তাহলে বুঝবেন আপনি পানিশূন্যতায় ভুগছেন। আর যদি ত্বকের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুন: স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে?
পানির ঘাটতি পূরণে করণীয়
আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা কিংবা বারবার পানির পিপাসা বোধ করেন তাহলে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করুন।
এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত তরল পান করুন। আর খেয়াল রাখুন প্রস্রাবের রং পরিষ্কার আছে কি না। যদি বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/এএসএম