তালেবানের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। সে সময় ক্ষমতায় বসেই তালেবানের পক্ষ থেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরেও দুই শতাধিক আফগান সেনা এবং কর্মকর্তা বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন দাবি করেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: তালেবান সরকারকে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের কঠোর হুঁশিয়ারি
তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের দুবছর পর প্রথমবারের মতো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ)। সংস্থাটি বলছে, দেশটিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং বল প্রয়োগ করে গুম করে ফেলার ৮০০ কেস নথিভূক্ত করেছে তারা। ইউএনএএমএ বলছে, তালেবানের শাসনামলের প্রথম চার মাসেই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে বিচারবহির্ভূত ভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২২ সালে আরও ৭০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। দেশটিতে সহিংসতা এখনও থেমে নেই।
ইউএনএএমএর প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট যে, তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক প্রশাসনে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং আফগান সেনাসদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
Advertisement
তিনি বলেন, লোকজনকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তাদের আর টার্গেট করা হবে না। কিন্তু তাদের হত্যা করা হয়েছে। এভাবে মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরই সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তালেবান। একই সঙ্গে তালেবান সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এবার আফগানিস্তানে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলো তালেবান
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমা ঘোষণার পরেও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৪২৪ জনের বেশি সদস্যকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক করা হয়। এছাড়া আরও ১৪৪ জনের বেশি মানুষকে নির্যাতন ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
টিটিএন