কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলের কক্ষে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিন আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
সোমবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি সামনের চেকপোস্টে পালকি বাস তল্লাশি করে তাকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত তরুণ আশরাফুল ইসলাম (১৮) কক্সবাজার শহরের ইসলামপুরের দক্ষিণ পাহাড়তলি এলাকার মো. হাসেম প্রকাশ কাসেম মাঝির ছেলে। তারা পুরোনো রোহিঙ্গা।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেলে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ
Advertisement
নিহত সাইফ উদ্দিন কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার সাবেক আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি এলাকার কাদেদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের গত কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো. রোকনুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার শহরে হোটেলে হত্যা করা হয় সাইফ উদ্দিনকে। হত্যার পর খুনি হোটেল হতে বেরিয়ে সাইফ উদ্দিন আহমেদের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আর সেটা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এরপর থেকেই খুনিকে ধরতে সব সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। অবশেষে সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি সামনের চেকপোস্টে পালকি বাস তল্লাশি করে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিন আহমেদকে খুনের ঘটনা শিকার করেছে আরশাফুল। একই সঙ্গে জানান আত্মগোপনে টেকনাফের কোনো একটি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য রাতে গাড়িতে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা ১৮ মহিষ আটক
Advertisement
এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পর কক্সবাজারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করে আসছিল। সাইফ উদ্দিনকে হত্যাকারী হোটেলকক্ষের ভেতর হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার একদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সায়ীদ আলমগীর/জেএস/জিকেএস